শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১০ জানুয়ারি ২০১৭
জঙ্গিবাদের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা ও দেশে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় ১৪টি দেশের মুসল্লিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভিসা প্রদানের আগে যাচাই-বাছাইয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে ভিসা প্রদানের ব্যাপারে বিশেষ দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওইসব দেশের মুসল্লিদের অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানে স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে অন্তত ১০ জনকে অন অ্যারাইভেল ভিসা প্রদান না করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তা ও বিশেষ নজরদারিতে রাখার জন্য র্যাব পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, এবারো গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে। প্রথম দফা ১৩ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফা ২০ জানুয়ারি শুরু হবে। তিনদিন করে এই ইজতেমার শেষ দিনে প্রতিবারই আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সূত্র জানিয়েছে, উগ্রধর্মীয় গোষ্ঠী ও আইএস জঙ্গিরা যেসব দেশে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ওইসব দেশের মুসল্লিদের ভিসা প্রদানে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, সুদান, লিবিয়া, ইয়েমেন, শাদ, মালি, ফিলিস্তিন, লেবানন ও পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা প্রদানে সর্বোচ্চ সতর্কতা আরোপ করা হচ্ছে। অপরদিকে বিশ্ব ইজতেমায় আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভিসা-সংক্রান্ত কাগজপত্র স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে যাচাই-বাছাই করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য একটি ডেস্ক খোলা হয়েছে।
বিমান বন্দরের ওসি ইমিগ্রেশন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ইত্তেফাককে জানান, তালিকাভুক্ত ১৪টি দেশের নাগরিকদের ইজতেমায় আসতে অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদানের আগেই আবেদনকারী ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
বিশ্ব ইজতেমায় আগতদের নিরাপত্তার ব্যাপারে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ইত্তেফাককে বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে গেট বসানো হয়েছে। বিদেশিদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ১৪টি দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।