শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৭ এপ্রিল ২০১৭
সুবিচার পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সামাজিক বৈষম্য কিংবা দারিদ্র্যতার কারণে কাউকে বিচার প্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের বিচার বিভাগ পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভ করছেন।
এছাড়া আইনি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বার কাউন্সিল, বার অ্যাসোসিয়েশনসহ আন্তর্জাতিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি মহান স্বাধীনতা। যার অন্যতম লক্ষ্য ছিল শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ করা, সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য এবং স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর দেশে আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। দেশে নেমে আসে গণতন্ত্রহীন কালো অধ্যায়। ’৭৫ পরবর্তী সামরিক সরকার এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হত্যা, দমন, নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে সুবিচারের পথ রুদ্ধ হয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে দেশে আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখেছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে বন্ধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে দেশের কোনো নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে তার সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ পাশ করে। গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আইনগত সহায়তা প্রদান’ আইনের আওতায় আমরা সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস্ব জনগণকে বিনা খরচে আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মধ্যস্থতায় আপস মিমাংসার মাধ্যমে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে মামলাজটের কবল থেকে বিচার বিভাগ কিছুটা হলেও ভারমুক্ত হয়েছে।