শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৭ মার্চ ২০১৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ।
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। বুধবার বিশ্বব্যাপী পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, “বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে।”
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জ, শিক্ষায় লিঙ্গসমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কোর ‘শান্তি বৃক্ষ’সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি।”
গ্লোবাল জেন্ডার গেপ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশের ওপরে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা-তালাকপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত নারীদের ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা চালু করা হয়েছে। ভিজিএফ, ভিজিডি ও জিআর কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমেও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কাঠামোতে প্রত্যক্ষ ভোটে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।”
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারী-পুরুষের সমতায় উন্নয়নের যাত্রা, বদলে যাবে বিশ্ব, কর্মে নতুন মাত্রা’ যথার্থ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে উন্নয়নের সক্রিয় অংশীদার করা হলে আমরা একটি সমতাভিত্তিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।”