শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৭ জুন ২০১৬
প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রীর উপর বর্ধিত আমদানি শুল্ক প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি আলী আশফাক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রীর আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। যা আইসিটি পণ্য আমদানিতে সরকারের অগ্রাধিকার খাতের গুরুত্বকে বাধাগ্রস্থ করবে।
আলী আশফাক বলেন, কম্পিউটার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হলে আইটি অবকাঠামো গঠনের পথে মারাত্মক অন্তরায় হবে। এছাড়া কম্পিউটারের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজিটাল ক্লাস রুম, ল্যাব, ই-সেবা কেন্দ্র, ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারের নেয়া উদ্যোগ বাস্তবায়নে ব্যয় অনেক গুন বৃদ্ধি পাবে। এসময় তিনি আমদানি শুল্ক পূর্বের ন্যায় ২ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদায়ী অর্থবছরেও ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর আমদানি শুল্ক সুবিধা পেয়ে আসছিলো। কিন্তু, বর্তমান প্রস্তাবিত বাজেটে এই সুবিধা কমিয়ে ২২ ইঞ্চির জায়গায় ১৯ ইঞ্চি করা হয়েছে। তবে বর্তমান বিশ্বে ২২ ইঞ্চি বা তার নিচের আকারের মনিটর কোন খ্যাতিমান প্রস্তুতকারক কোম্পানি উৎপাদন করে না। তাই মনিটরের আকার ১৯ ইঞ্চিতে রাখা ঠিক হয়নি। এই আকার ২২ ইঞ্চি থেকে বৃদ্ধি করে ২৮ ইঞ্চি নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ করার প্রস্তাব জানিয়ে বিসিএস নেতারা বলেন, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করায় আমরা আশাহত হয়েছি।
কম্পিউটার যন্ত্রাংশের উপর থেকে সকল ধরণের শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে ‘মেক বাই বাংলাদেশ’ এবং মেধা ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিসিএস নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের মাইলফলক স্পর্শ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, পরিচালক এ টি শফিক উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।