ওষুধ প্রশাসন দুই সহস্রাধিক মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স দেবে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১০ আগস্ট ২০১৬

ওষুধ প্রশাসন দুই সহস্রাধিক মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স দেবে

ওষুধ প্রশাসন দুই সহস্রাধিক মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স দেবে

দেশে ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে মডেল ফার্মেসি ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মডেল ফার্মেসির এই পাইলট প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে দুই শতাধিক মডেল ফার্মেসি নির্মিত হবে। ওষুধ প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রতিটি মডেল ফার্মেসি গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। সারাদেশে দুই শতাধিক মডেল ফার্মেসি হলেও রাজধানীতেই হবে অর্ধশতাধিক।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার জানান, আধুনিক বিশ্বের আদলে মডেল ফার্মেসি স্থাপনের গাইডলাইন প্রণয়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

ইতোমধ্যেই মডেল ফার্মেসি স্থাপনের গাইডলাইন প্রণীত হয়েছে। ওই গাইডলাইন অনুসারে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মডেল ফার্মেসির অনুমোদন প্রদান করা হবে।

সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না করলেও প্রকল্পের অধীনে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বেশ কিছু মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স দেয়ার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ‘এ’ ও ‘বি’  দুই ক্যাটাগরির মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স দেয়া হবে। ‘এ’ ক্যাটারির মডেল ফার্মেসির আয়তন ১৫ ফুট বাই ১০ ফুট এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ফার্মেসির আয়তন হবে ১০ ফুট বাই ৯ ফুট।

মডেল ফার্মেসিগুলোতে ক্যাটাগরি (এ ও বি) অনুযায়ী ওষুধ রাখার অনুমতি প্রদান করা হবে। কোল্ড চেইন অনুসরণ করে ওষুধ সংরক্ষণ করতে হবে। সাধ্য মোতাবেক কেউ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের সুব্যবস্থা করতে পারে। এসব ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। শুধু তাই নয়, প্রতিটি বিক্রীত ওষুধের হিসাব রাখতে হবে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রুহুল আমিন জানান, বর্তমানে দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মেসির সংখ্যা এক লাখ ২১ হাজার। তবে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি রয়েছে ১৯ হাজার ৮০০। অধিদফতরের কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে ফার্মেসি পরিদর্শন করে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে সি ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট দ্বারা ফার্মেসিগুলো পরিচালিত হচ্ছে। তারা ফার্মেসি কাউন্সিলের অধীনে সপ্তাহে একদিন করে আট সপ্তাহের ক্লাস ও প্রশিক্ষণ নিয়ে সি ক্যাটাগরির লাইসেন্স পাচ্ছেন। তবে ফার্মেসি কাউন্সিলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে এ কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান তিনি।

 

Related posts