শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৫ মার্চ ২০১৬
এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান মুন্নি সাহাকে দত্তক নিয়েছেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। কন্যা ফৌজিয়া সুলতানা টুম্পার শূন্যস্থান পূরণে করতেই তিনি মুন্নি সাহাকে দত্তক নিয়েছেন।
সাবেক এ নগরপিতাকে চোখের জলে ভাসিয়ে অনেক দিন আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ফৌজিয়া সুলতানা টুম্পা। সেই শূন্যস্থান পূরণ না হলেও মুন্নি সাহাকে কন্যা হিসেবে গ্রহণ করে কিছুটা হলেও বুক জুড়ালেন গণমানুষের নেতা মহিউদ্দিন।
গতকাল সোমবার মুন্নি সাহা চট্টগ্রাম নগরীর চশমাহিলের বাসভবনে মহিউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে যান। ওই সময় মহিউদ্দিন চৌধুরী তাকে কন্যা হিসেবে দত্তক নেওয়ার ঘোষণা দেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি মুন্নিকে দত্তক নিয়েছি। সে আমার পালিত কন্যা। আমি জীবিত থাকা পর্যন্ত পিতা হিসেবে মেয়ে মুন্নির সব দায়িত্ব পালন করে যাব।’
মুন্নি সাহা এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে আমি ২০ বছর ধরে চিনি। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি, ভালবাসি। পিতার মতোই শ্রদ্ধা করি। এটা এমন না যে, কাগজে-কলমে, টাকাপয়সা দিয়ে তিনি আমাকে দত্তক নিয়েছেন। শুধুমাত্র ভালবাসা থেকেই উনি আমাকে পালিত কন্যা হিসেবে নেওয়ার কথা বলেছেন। উনি বললেও উনি আমার পিতার মতো, না বললেও পিতার মতো।’
তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে গেলেই একবার উনাকে ফোন করি, দেখা করি। দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টার জন্য গেলেও আমি বাসায় গিয়ে একবার দেখা করে আসি। উনার ছেলে নওফেলের চেয়েও আমার সঙ্গে উনার সম্পর্কটা অনেক সহজ। আমি বাসায় গেলে উনার হাত ধরে বসে থাকি। উনি টুম্পার কথা মনে করে কান্না করেন।’
২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী টুম্পা দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তখন মহিউদ্দিন কারাগারে ছিলেন। মেয়ের মৃত্যুকালে পিতা হিসেবে তার শিয়রে থাকতে না পারার যন্ত্রণার কথা সবসময় বলেন মহিউদ্দিন।