শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৫ জানুয়ারি ২০১৭
একজন ব্যক্তির নিজের স্বার্থের যড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্পে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে বিশ্বব্যাংক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
তিনি বলেন, এ জন্য একজন সচিবকে অন্যায়ভাবে জেল খাটতে হয়েছে এবং একজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একজন ব্যক্তির ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত লাগায় পদ্মা সেতু প্রকল্প আটকে যাচ্ছিল। সময় মত কাজ শুরু হলে ২০১৬ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হতো। ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন ৮ শতাংশে পৌঁছে যেতো।’
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া বিশ্বব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠানের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই যড়যন্ত্রের পেছনে দেশের কারা জড়িত ছিল তাদের নাম একদিন বের হয়ে আসবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেও পরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা স্থগিত এবং পরে বাতিল করে। পরে তাদের বাদ দিয়েই নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত গত শুক্রবার ওই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়।