একটি সুইয়ের চমক!

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৭ আগস্ট ২০১৬

একটি সুইয়ের চমক!

একটি সুইয়ের চমক!

সাইবেরিয়ার একটি গুহায় বিজ্ঞানীরা ৫০ হাজার বছরের পুরনো একটি সুই খুঁজে পেয়েছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, সেটি এখনো ব্যবহার উপযোগী রয়েছে। আবিষ্কারের পর পরীক্ষাগারে নিয়ে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, প্রাচীন এক পাখির হাড় দিয়ে সুইটি তৈরি করা হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুইটি তৈরি করে মানব জাতির বিলুপ্ত প্রজাতি ডেনিসোভানরা। আর এটি পাওয়া গেছে রাশিয়ার ডেনিসোভা গুহায়। সেখানে গত তিন দশক ধরে খননের কাজ চলছে। নভোসিবিরস্কের ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজির প্রধান প্রফেসর মিখাইল শানকভ বলেন, ‘বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চমক লাগানো এক আবিষ্কার এটি। হাড়ের তৈরি এই সুই মানব ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন। এর বয়স ৫০ হাজার বছর।’

সে সময়ের ডেনিসোভান মানুষরা ধারণার বাইরে বুদ্ধিমান ছিলো, এই আবিষ্কার সেটাই প্রমাণ করে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ডেনিসোভা গুহা খনন প্রকল্পের প্রধান ড. মাকসিম কজলিকিন বলেন, ‘এটা ডেনিসোভা গুহায় পাওয়া সবচেয়ে বড় সুই। এর আগেও কিছু সুই পেয়েছিলাম আমরা, কিন্তু সেগুলো ছিলো ছোট।’

বিশেষজ্ঞরা এটা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ঐ সুই তৈরি করেছিলো ডেনিসোভান পূর্বপুরুষরা। প্রাচীন মানব প্রজাতি ডেনিসোভানরা ছাড়াও হোমো সেপিয়েন্স, নিয়েনডারথালরা ঐ গুহা ব্যবহার করেছে প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার বছর আগে থেকে। ২০০৮ সালে গুহাটিতে এক তরুণী বসবাস করতো বলে প্রমাণ পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয় ঐ তরুণী ৪১ হাজার বছর আগে গুহাটিতে ছিলো। তখন সেখান থেকে প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের একটি  ব্রেসলেট পাওয়া যায়। এতে এমন একটি গর্ত করা ছিলো যা বর্তমান সময়ে ড্রিল দিয়ে গর্ত করার মতো। সে সময়ে এ ধরণের প্রযুক্তি কীভাবে পেল গুহা মানবরা, বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে বিজ্ঞানীদের। আর ৫০ হাজার বছরের পুরনো সুই যে প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়, সেটিও ভাবনার বিষয় বিজ্ঞানীদের জন্য। মজার ব্যাপার হলো, এটি এখনো ব্যবহার উপযোগী!

 

 

Related posts