শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ঈদের এই আনন্দের মুহূর্তে সবচেয়ে ঝোঁক থাকে খাওয়া-দাওয়ার দিকে। মুখরোচক খাবারে সাজানো থাকে পুরো খাবার টেবিল। আর তা যদি হয় কোরবানির ঈদ তাহলে তো কথায় নেই। গরুর মাংস আর খাসির মাংসের সমাহারে খাবারের তালিকায় যুক্ত হয় অনেক স্বাদের খাবার। আর তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিটাও বেড়ে যায়। তবে এ সময়ে কি পরিমাণ খাবার খাবেন চলুন তা জেনে নেই।
* খাবার দেখেই ঝাপিয়ে না পড়ে, আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করুন। নিজেকে সংযত করুন এবং পরিমিত আহার করুন।
* বেশি ক্ষুধা লাগিয়ে না খেয়ে অল্প ক্ষুধা লাগলে খান, এতে কম খাওয়া হবে। খাবার আগে পানি খেয়ে নিন অথবা দাওয়াতে যাওয়ার আগে সালাদ, ফল ইত্যাদি কম ক্যালরির সহজ পাচ্য খাবার বা পানীয় খেয়ে নিন। তাহলেও কম খাওয়া হবে।
- কোরবানি ঈদে যেহেতু লাল মাংসের (গরু, খাসি) ছড়াছড়ি, তাই মাংস খাওয়ার লোভ সামলানো দায়। তবে যখন খাবেন তখন অল্প পরিমাণে খান। কেননা লাল মাংসে অনেক ফ্যাট থাকে।
- যারা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, কিডনির সমস্যা, Arthritis (গেটেবাত), হৃদরোগ ইত্যাদিতে ভুগছেন, তারা অবশ্যই ডাক্তারের বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মত ও পরিমিত পরিমাণে খাবেন।
- মাংস যখন খাবেন তখন একবারে কতটুকু খাবেন? আপনার হাতের তালুর সমান মাংস একবারে খেতে পারবেন। আর ভাত জাতীয় খাবার একবারে খাবেন এক থেকে আধা কাপ।
- প্রতিবেলা মাংস না খেয়ে একবেলা হলেও মাছ খান। যেমন- রাতের খাবারে মাছ রাখতে পারেন। কারণ মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ভালো।
- বেশি মাংস খাওয়া হয়ে গেলে এবার লোভ সামলান। দিনে সবজি, সালাদ, ফল, ডাল খেয়ে ব্যালান্স করুন।
- মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি গুরুপাক খাবার যখন খাবেন, তখন খাবারের সঙ্গে প্রচুর সালাদ খাবেন। কারণ সালাদ খাবার হজমে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতি বেলার খাবারে অবশ্যই বেশি বেশি সবজি খাবেন। টক দই, বোরহানি, লেবুর শরবত (চিনি ছাড়া) ইত্যাদি খাবার হজমে সহায়ক। এগুলো খাবার পর খেতে পারেন।
- সকালে উঠেই লেবু আর মধু এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে গুলে খেলে তা হজমের জন্য এবং মেদ কমাতে সহায়ক।
- কোনো বেলা বেশি খেয়ে ফেললে বা দাওয়াত থাকলে অন্য বেলা রুটি, সালাদ বা স্যুপ খেয়ে ব্যালান্স করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে শর্করা (ভাত, চিনি) জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
- মিষ্টি খাবার/চিনি যুক্ত খাবার দুই-একদিনের বেশি না খাওয়াই ভালো। খেলেও খুবই অল্প পরিমাণে।
- কোমল পাণীয় চিনি যুক্ত পানীয় না খাওয়াই ভালো। এসবের বদলে ফলের চিনি ছাড়া জুস, বোরহানি, টক দই, পুদিনা লাচ্ছি, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতে পারেন।
ব্যায়াম ছাড়বেন না
- ব্যায়ামের অভ্যাস থাকলে সেটা অব্যাহত রাখুন। কোনোভাবেই ব্যায়াম বন্ধ করা যাবে না। বাসায় কিছু ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি থাকলে তো কথাই নেই। শুরু করে দিন টাইম কর।
- সব সময় অলস সময় না কাটিয়ে একটু ঘরের কাজ করুন, শরীরটাকে কর্মচঞ্চল রাখুন। দেখবেন কেমন ঝরঝরে লাগছে।
- বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে হাঁটতে বের হোন, পারলে দৌঁড়ান, সাইকেল চালান। হাটাহাটি এবং ব্যায়াম করবেন সেদিন বেশি বেশি, যেদিন বেশি খাওয়া হবে।