শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৪ জানুয়ারি ২০১৭
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে আজ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে।
আগামী রোবাবার প্রথম পর্বের আখেরী মুনাজাত অনুুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার বিদেশীসহ লাখো মুসল্লীর পদভারে ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ট্রেন, বাস, লঞ্চ, নৌকাযোগে ১৬ জেলার মুসল্লীরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিচ্ছেন।
আজ ঢাকা, গাজীপুর ও আশপাশের জেলার হাজার হাজার মুসল্ল¬ী পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত দেশের বৃহত্তম জুম্মার জামাতে নামাজ আদায় করেন।
বৃহত্তম এই জুমার নামাজে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ অংশ নেন।
আজ শুক্রবার ফজরের নামাযের পর ভারতের মাওলানা ওবায়দুল খোরশেদ-এর আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জাকির।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ওই নামাজের ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা মো. ফারুক হোসেন।
বাদ ফজর থেকে বয়ান করেন, দিল্লীর মাওলানা ওবায়েদুলাহ খোরশেদ, জুম্মার পর বয়ান করেন মাওলানা ওয়াসিকুর রহমান, বাদ আসর বয়ান করেন মাওলানা আহসান, বাদ মাগরিব বয়ান করছেন ভারতের মাওলানা শওকত। এসব বয়ান বাংলা, আরবি, উর্দু, ফারর্সিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষণিক তরজমা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইজতেমায় আগত ৫ মুসল্লীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইলের জানু ফকির, মানিকগঞ্জের সাহেব আলী, কক্সবাজারের হোসেন আলী ও সাতক্ষীরার আব্দুস সাত্তার।
এদের অনেকে বার্ধক্যজনিত ও অসুস্থতায় ভুগে মারা গেছেন বলে ইজতেমা শীর্ষ মুরুব্বীরা জানান। ময়মনসিংহের নান্দাইলের মারুয়া গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে ফজলুল হক বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়া টঙ্গি বাজার এলাকা হতে অজ্ঞাত (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জানান, ইজতেমা ময়দানে মুসল্ল¬ী¬দের নিরাপত্তায় ৫স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলা হয়েছে।
চার দিন আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালে ৩২ জেলার ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। আগামী ২০১৮ সালে ৩২ জেলার বিশ্ব ইজতেমা অনষ্ঠিত হবে।