শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস।
এ বছরের পর্যটন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সকলের জন্য পর্যটন : সার্বজনীন পর্যটনের অভিগম্যতা।’
জনসাধারণের মধ্যে পর্যটন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এ বছরও জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিউটিও এর উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী দিনটি বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হচ্ছে দিবসটি।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি রাজধানীর মৎস ভবনের সামনের সড়ক থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট ও দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে শেষ হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক।
এদিকে টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘পর্যটনকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এটি শুধু ধনী মানুষদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। তাহলে পর্যটন শিল্প যেমন বিকাশিত হবে তেমনিভাবে অর্থনীতিরও উন্নয়ন ঘটবে।’
পর্যটন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্যে পর্যটন কমান্ডে নারী, পুরুষ, বয়স্ক, যুবক, শিশু, স্বচ্ছল, অস্বচ্ছল, প্রতিবন্ধী সকল শ্রেণির মানুষের অংশ গ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
দিবসটির অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে আছে সকাল সাড়ে ১০টায় টিএসসি চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে কেক কাটা।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও বিকেলে টিএসসি চত্বরে লোক সংগীতের আয়োজন।
বিকেল ৫টায় মহাখালীর হোটেল অবকাশের ব্যাংকুয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে পর্যটন দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা সভা।
এ ছাড়া আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী পঞ্চম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবস বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ বাংলাদেশে এ বছরটিকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। পর্যটন ক্ষেত্রে অপার সম্ভবনাময় বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোকে দেশ-বিদেশের সকল শ্রেণির মানুষের নিকট তুলে ধরতে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।