শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
আজ উপমহাদেশের প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে (৯ই সেপ্টেম্বর)৮৪ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ফরিদপুরের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন ফিরোজা বেগম। বাবা খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন বৃটিশ সরকারের প্রথম মুসলমান সরকারি কৌঁসুলি। মাতা বেগম কওকাবুন্নেসা।
উপমহাদেশীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা ছিলেন ফিরোজা বেগম। সংগীতের সব শাখাতেই ছিল তার দৃপ্ত পদচারণা। তবে নজরুলসংগীতে নিজেকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ফিরোজা বেগম ১৯৪২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কলকাতায় নিয়মিত গান করেছেন। এইচএমভি থেকে তার প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪২সালের ডিসেম্বরে। আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত, গজল, ভজন সব গানই তখন করেছেন। ১৯৫১ সালে কলকাতায় কমল দাশগুপ্তের সুরে বেশকিছু গান করেন। এভাবেই তার সংগীত গুরু হয়ে ওঠেন কমল দাশগুপ্ত। তিনি নজরুলের কথার সুর দিতেন, আর ফিরোজা বেগম সেগুলো কণ্ঠে তুলে নিতেন।
১৯৫৬ সালে কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজা বেগম। তবে ১৯৭৪ সালে স্বামীর মৃত্যু ও দেশভাগের সময় অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আর সংগ্রামের ভেতর দিয়ে ফিরোজা বেগম হয়ে যান নজরুলসংগীত সম্রাজ্ঞী।
ফিরোজা বেগম স্বাধীনতা পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ টিভি শিল্পী পুরস্কার(পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, স্যার সলিমুল্লাহ স্বর্ণপদক, দীননাথ সেন স্বর্ণপদক, সত্যজিৎ রায় স্বর্ণপদকসহ আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২সালে তাকে বিশেষ নজরুল সম্মাননা দেয়।
ফিরোজা বেগমের দুই ছেলে হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদ দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
খ্যাতিমান এই শিল্পীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) ফার্মগেটের বাসায় পারিবারিক ভাবে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
তবে এই কিংবদন্তির সংগীত শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শিল্পকলা একাডেমি কিংবা অন্য কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ছিল না বিশেষ আয়োজন।