শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
আজ (৮ সেপ্টেম্বর) কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৫ সালের এ দিনে তিনি বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুরের লৌহজং থানার পয়সা গ্রামে। তাঁর লেখা অনবদ্য উপন্যাস ‘নূরজাহান’ তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। যা আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, ‘নূরজাহান’ উপন্যাসটি একাধিক ভাষায় অনূদিত হতে যাচ্ছে।
গত ৩০ আগস্ট ২০১৩ এই অসাধারণ উপন্যাসের জন্য তিনি ভারতের সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে সম্মানের সাহিত্য পুরস্কার ‘আইআইপিএম-সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ পেয়েছেন, যা এশিয়ার সাহিত্য পুরস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০৫ সালে তিনি জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তাকেশি কায়েকো মেমোরিয়াল এশিয়ান রাইটারস লেকচার সিরিজে’ বাংলাভাষার একমাত্র লেখক হিসেবে জাপানের চারটি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বাংলাদেশের সাহিত্য এবং তাঁর নিজের লেখা নিয়ে বক্তৃতা করেন। এশিয়ার লেখকদের জন্য এ এক বিরল সম্মান।
এছাড়াও অধিবাস, পরাধীনতা, কালাকাল, বাঁকা জল, নিরন্নের কাল, পরবাস, কালোঘোড়া, নেতা যে রাতে নিহত হলেন, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র, একাত্তর, সুতোয় বাঁধা প্রজাপতি, যাবজ্জীবন, মাটি ও মানুষের উপাখ্যান, পর, কেমন আছ সবুজপাতা, জীবনপুর, সাড়ে তিন হাত ভূমি, জিন্দাবাহার প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত বই। বাংলাদেশের সাহিত্যের পাঠক সৃষ্টিতে তাঁর ভ‚মিকা ব্যাপক। তাঁর লেখা দু শতাধিক নাটকের মধ্যে কোন কাননের ফুল, বারো রকম মানুষ, রূপনগর, যত দূরে যাই, যুবরাজ, কোথায় সেজন, আলতা, একজনা, নীলু, তোমাকেই, ছোছা কদম, আঁচল, খুঁজে বেড়াই তারে, কোন গ্রামের মেয়ে, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে বিপুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতায়ও তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি কালের কণ্ঠের সম্পাদক।
লেখালেখির স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার, এস এম সুলতান পদক, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন পদক, শেরেবাংলা পদক, টেনাশিনাস পুরস্কার, জাপান বিবেক সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতা চোখ সাহিত্য পুরস্কর, জাপান রাইটার্স অ্যাওয়ার্ড, মাদার তেরেসা পদক, বাচসাস পুরস্কার সহ দেশ বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।