শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৫ জানুয়ারি ২০১৭
তিনি বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’কে সামনে রেখে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পরিকল্পিত ও সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১)’ প্রণয়ন করে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রেক্ষিত পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে- জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, যেখানে মাথাপিছু আয় হবে ২ হাজার ডলার। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা জিডিপি’র ৩৮ শতাংশ অর্জন। ইতোমধ্যে অর্জিত খাদ্যশস্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে ২০২১ সালের মধ্যে খাদ্যে টেকসই স্বয়ংসম্পূর্ণতায় রূপান্তর। ২০২১ সালের মধ্যে বাণিজ্য (আমদানি ও রফতানি) জিডিপি’র ৬০ শতাংশে উন্নীত করা। ২০২১ সালের মধ্যে মোট ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ২০২১ সালের মধ্যে সকল মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা। ২০২১ সাল নাগাদ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী লোকসংখ্যা ১৩.৫ শতাংশ নামিয়ে আনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।
৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান বিষয় যেমন, মোট দেশজ আয়, প্রবৃদ্ধি, রফতানি আয়, কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং সামাজিক খাদের দারিদ্র্য নিরসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু নিরাপত্তায় অগ্রগতি এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সরকারের সাফল্য অভূতপূর্ব।
তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংকটের জাল ছিন্ন করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ২০১৬ সালের নমিনাল জিডিপি’র ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৬তম এবং ক্রয়ক্ষমতা সমতার জিডিপির ভিত্তিতে ৩৩তম স্থান লাভ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৫.১ শতাংশ, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.১১ শতাংশ উন্নীত হয়। এ বছরের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.২ শতাংশ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে কাজ চলছে। ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল ‘তথ্য বাতায়ন’ চালু করা হয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৫ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকের অধিকাংশ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার এবং নিম্ন-আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।বাসস