আইজিপি রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি : হেডকোয়ার্টার্স

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২১ আগস্ট ২০১৬

আইজিপি রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি : হেডকোয়ার্টার্স

আইজিপি রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি : হেডকোয়ার্টার্স

বঙ্গবন্ধুর ৪১তম মৃত্যু বার্ষিকীর  আলোচনায় আইজিপি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি বলে দাবি করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। শনিবার হেডকোয়ার্টার্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ দাবি করা হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, বিষয়টির প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বক্তব্য নিম্নরূপ:

‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ গত বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের শহীদ এস আই শিরু মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সভাপতিত্ব করেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।’

সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন ও জনকল্যাণে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, তিনি সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু যে সকল প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হয়েছেন, তা আলোকপাত করতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে বিভিন্ন ঘটনা উঠে এসেছে।

আইজিপি প্রকৃত প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে ইতিহাসের ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে বক্তব্য রেখেছেন। সঠিক ইতিহাস জানা এবং বর্তমান প্রজন্মকে জানানো প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার।

আইজিপি কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেননি। তার বক্তব্যে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে নমনীয়ভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

তবে ‘রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাজ নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ‍) বলেছে, এটা আইজিপির এখতিয়ারবহির্ভূত।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবসের ওই অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রতিকূল পরিবেশেও বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে সময় ‘একটি মহল’ তাকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। যারা মুষ্টিমেয় ব্যক্তি, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল আর অতিবিপ্লবী…তখন বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র, পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি, পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদের গণবাহিনী… এই সমস্ত লোকগুলো কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি।’

 

Related posts