হাসপাতালের সামনে আওয়ামী লীগের অভিনন্দন সমাবেশ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২১  নভেম্বর  ২০১৬

হাসপাতালের সামনে আওয়ামী লীগের অভিনন্দন সমাবেশ

হাসপাতালের সামনে আওয়ামী লীগের অভিনন্দন সমাবেশ

দফায় দফায় মিছিল। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। দলের নামে ও নেতাকে অভিনন্দন জানিয়ে দেয়া হয় স্লোগান। ৬টি মাইক ও সাউন্ড বক্সে বেজে উঠে দেশাত্মবোধক ও দলীয় সঙ্গীত। আওয়ামী লীগের একটি ইউনিটের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা থেকে সৃষ্ট উচ্চশব্দে অতিষ্ঠ হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।

রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সড়কের ওপর আয়োজন করা হয় এ সমাবেশ। যেখানে উচ্চস্বরে গান বাজানো, মাইকিং, অবৈধ পার্কিং, মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সেখানে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকেও রয়েছে এ সংক্রান্ত সাইনবোর্ড।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ২০নং ওয়ার্ডের অধীনে ‘ঢাকা মেডিকেল ইউনিট’র নবগঠিত কমিটির সদস্যদের জন্য এ ‘পরিচিতি সভা’র আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় সোয়া ৪টার দিকে। তবে ৩টার আগেই মাইকে স্লোগান দেয়া শুরু হয়। নেতাকর্মীদের পরিচিতি সভায় অংশ নেয়ার জন্য দফায় দফায় আহ্বান জানানো হয়। বাজানো হয় দলীয় ও দেশাত্মবোধক গান।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক রোগীর আত্মীয় আফছার উদ্দিন জানান, হাসপাতালের সামনে কি করে সভা-সমাবেশ হয়। প্রচণ্ড শব্দ হচ্ছে। রোগীদের মানসিক সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক।

হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাসপাতালের স্পর্শকাতর হলো জরুরি বিভাগ। ওই এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ, মাইকিং, উচ্চশব্দে গান পরিবেশন করার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ রয়েছে। কিন্তু পেশিশক্তির কারণে আওয়ামী লীগ হাসপাতালের রোগীদের কথা চিন্তা না করে সভার আয়োজন করেছে।

২০নং ওয়ার্ডের অধীন ‘ঢাকা মেডিকেল ইউনিট’র নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডা. দিলীপ রায়, আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল হুদা, সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলি, আতিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট এম এ হামিদ খান, হাজি মনোয়ার হোসেন মনু। একই অনুষ্ঠানে স্বাচিপের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু ইউসুফ ফকিরের উপস্থিত থাকার কথা শোনা যায় মাইকে।

ঢাকা মেডিকেল ইউনিটের সভাপতি আলম বলেন, শাহবাগ থানা পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কীভাবে সভার আয়োজন করা যায় সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

ঢামেক পুলিশের ইনচার্জ এস আই বাচ্চু মিয়া জানান, আমার বলার এখতিয়ার নেই। অনুমতির বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশের। তারা অনুমতি দিয়েছেন বিধায় সভা হয়েছে।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দীক বলেন, থানা পুলিশের অনুমতি তারা নেয়নি। এ ধরনের প্রোগ্রামে অবশ্যই অনুমতি লাগে।

 

Related posts