শরীয়তপুরে রসুন চাষে বাম্পার ফলন

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম।  ১৬   মার্চ  ২০১৬

শরীয়তপুরে রসুন চাষে বাম্পার ফলন

শরীয়তপুরে রসুন চাষে বাম্পার ফলন

শরীয়তপুরে রসুন চাষে বাম্পর ফলন হয়েছে। এতে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে কৃষকদের চোখে মুখে। রসুন চাষ এখন সোনালী স্বপ্নতে পরিণত হয়েছে। গত বছর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকরা রসুন চাষে ক্ষতির সম্মূখীন হলেও এ বছর তা পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২ হাজার ৭শ ৯৮ হেক্টর জমি রসুন চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল কিন্তু অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৬শ ৭৪ হেক্টর অর্থাৎ ১ হাজার ৪শ ৭৮ হেক্টর বেশী অর্জিত হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলার ছয়টি উপজেলায়তেই কমবেশী রসুন চাষ হয়। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৮০ হেক্টর, জাজিরা উপজেলায় ১২৪০ হেক্টর, নড়িয়া উপজেলায় ৮৭৭ হেক্টর, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১২৫ হেক্টর, ডামুড্যা উপজেলায় ২০ হেক্টর এবং গোসাইরহাট উপজেলায় ৪৫৬ হেক্টর জমিতে  রসুন চাষ করা হয়।

জাজিরা উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রামের রসুন চাষী আবু বকর খলিফা বলেন, এ বছর রসুনের ফলন ভালো হয়েছে এবং রসুনের দামও ভালো। প্রতি মন রসুনের মূল্য প্রায় ২ হাজার ৫০ টাকা। কিন্তু আমাদের উৎপাদিত  রসুনের মান অনেক ভাল হওয়া সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইন্ডিয়া থেকে অল্পমূল্যে নিম্মমানের রসুন আমদানী করছে। অথচ আমাদের উৎপাদিত  রসুন বিদেশেও রফতানী হচ্ছে।

একই গ্রামের  রসুন চাষী লিয়াকত হোসেন খলিফা বলেন, রসুন চাষ করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। এক একর জমিতে রসুন চাষ করতে ৪৫ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়ে যায়। অথচ সরকারের কাছ হতে আমরা কোনো সুযোগ সুবিধাই পাই না।

সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের সুবচনী গ্রামের রসুন চাষী মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বছর আমি এক একর জমিতে রসুন চাষ  করেছি। গত বছর রসুন চাষ করতে গিয়ে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক লোকসান হয়েছে। এ বছর  রসুনের ফলন ভাল হয়েছে। আশা করছি গত বছরের লোকসান এ বছর পুষিয়ে নিতে পারবো।

নড়িয়া উপজেলার রসুন চাষী মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা গরীব কৃষক। রসুন চাষ করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক থেকে কখনোই কোনো ঋন পাইনি। তাই কষ্ট করেই রসুন চাষ করছি। যাতে একটু ভালো ভাবে থাকতে পারি। এবার রসুন খুব ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেনের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, এ বছর রসুনের আবাদ খুবই ভাল হয়েছে। গত বছর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর রসুন চাষীরা তা পুষিয়ে নিতে পারবে।

 

Related posts