রমজানে সুস্থ থাকার জন্য করণীয়

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৮  জুন ২০১৬

সাধারণত তিন বেলা খাদ্য গ্রহণ করলেও রমজানে আমরা সেহরি ও ইফতার, এই দুই সময়ে খাদ্যগ্রহণ করে থাকি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যেতে পারে। ফলে দুর্বলতা, মাথাঘোরা, ক্লান্তি, মনোযোগ কমে যাওয়া, অল্পতেই ঘেমে যাওয়া, শরীরে কাঁপুনি, মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে, এমনকি কেউ কেউ অচেতনও হয়ে যেতে পারেন।

রমজানে সুস্থ থাকার জন্য করণীয়

রমজানে সুস্থ থাকার জন্য করণীয়

চিকিৎসকরা জানান, রমজানে অন্যতম সাধারণ সমস্যা হচ্ছে মাথাব্যথা। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলে যেমন মাথাব্যথা হয়, তেমনি পানিশূন্যতার জন্যও মাথাব্যথা হতে পারে। দিনের শেষভাগে বা ইফতারের পরপরই অনেকের মাথাব্যথা শুরু হয়।

এ সময়ের আরেকটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ। অনেকেরই পাকস্থলীতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পেট ব্যথা, ফাঁপা, জ্বালাপোড়া, বদহজম, গ্যাস হওয়া প্রভৃতি সমস্যা অনেকেরই ঘটে। সারাদিন অভুক্ত থেকে ইফতারের সময় অনেকেই অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খান। এই অতিভোজনের কারণেও পেটে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।

রমজানে রোজাদার ডায়াবেটিস রোগীদের ওষুধের মাত্রা ও সেবন বা প্রয়োগের মাত্রা এবং সময় নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। অনেকে আলস্যজনিত বা অন্য কোনো কারণে সেহেরি খাওয়ার জন্য ওঠেন না। তাদের ক্ষেত্রেই এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটতে পারে। এছাড়া হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নিতে হবে।

সারা দিন অভুক্ত থাকায় দিনের শেষভাগে এসে অনেকের রক্তচাপ কমে যেতে পারে। ফলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাঘোরা বিশেষ করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময় মাথা ঘোরা, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘামা, মাথা ঝিমঝিম করা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া খাদ্যে লবণের পরিমাণ কম থাকলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম প্রভৃতির ঘাটতিজনিত কারণে মাংসপেশিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রমজানে সুস্থ থাকার জন্য বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, খেজুর প্রভৃতি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে এবং সেহেরি, ইফতার ও রাতের খাদ্যতালিকা হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর। তিনি বলেন, যে বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এই স্বাভাবিক সচেতনতাই একজন রোজাদার ব্যক্তিকে সুস্থ রাখতে পারে।

 

Related posts