তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৬  জুলাই  ২০১৬

তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ

তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ

তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। এ দাবি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্রের। শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে সেনাবাহিনির একাংশ প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান সরকারকে হটিয়ে সামরিক আইন জারির ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পর সরকারের পক্ষে অভ্যুত্থান নস্যাতের এ ঘোষণা দেয়া হলো।

শনিবার (১৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, পরিস্থিতি সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিপদগামী সেনাদের পরাস্থ করা হয়েছে। সেনাবাহিনি বড় অংশ কুচক্রীদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আহ্বানে জনগন রাজপথে নেমে আসে এবং সরকার অনুগত সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেয়।

সামরিক অভ্যুথ্বানের খবর পেয়ে উপকূলীয় শহর মারমারাসিতে অবকাশে থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান রাজধানি ইস্তাম্বুলে ছুটে আসেন। বিমানবন্দরের বাইরে প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে একটি টেলিভিশনকে বলেন, এটি সন্ত্রাসী কাজ। এদের প্রতিহত করতে তিনি ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দলের কর্মিসমর্থকদের রাস্তায় বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অভ্যুত্থান চেষ্টার সময়  সামরিক বাহিনীর বিদ্রোহী দলটিকে কারা নেতৃত্ব দিয়েছেন কিংবা তাদের পেছনে কারও সমর্থন ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, জড়িত সেনা সদস্যদের  গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় একটি টেলিভিশন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমকে উদ্ধৃত করে বলেছে, অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে ১৩০ সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

এছাড়া রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে তারা ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারে বিদ্রোহী ৩০ সেনাকে অস্ত্র জমা দিতে দেখেছেন। বিদ্রোহী সেনাদলটিকে ঘিরে রেখেছিল সশস্ত্র পুলিশ। পরে তাদেরকে পুলিশ ভ্যানে করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।

তুরস্কে শুক্রবার রাত থেকে অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হয়। আঙ্কারার বাইরে পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদর দপ্তরে হেলিকপ্টার হামলা চালায় সেনারা। এতে কমপক্ষে দেশটির ১৭ সেনা সদস্য নিহত হয়। তবে অভ্যুথ্বান চেষ্টায় সরকার ও বিদ্রোহি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। এদের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ।

এদিকে যুক্তরাষ্টের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশটির সামরিক অভ্যুত্থানে এরদোয়ান সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে।

 

 

Related posts