শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৯ অক্টোবর ২০১৬
ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে নগরবাসীকে আগ্রহী করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন। এ লক্ষ্যে রাজধানীর ফুটওভার ব্রিজকে সবুজ গাছ এবং ফুল বাগানে পরিণত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেক ফুটওভার ব্রিজের দুইপাশে তৈরি করা হয়েছে ফুল বাগান। বাহারি রঙের ফুল গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো ব্রিজগুলো। এছাড়া কিছু কিছু ফুটওভার ব্রিজে চলন্ত সিঁড়িও স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে পথচারীদের রাজধানীর ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে সড়ক পারাপারে শাস্তির বিধানও করা হয়েছিল। বসানো হয়েছিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত। এত সব উদ্যোগের পরও রাজধানীবাসীর ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে অনীহা থেকেই গেছে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরগেট ওভার ব্রিজ, শাহবাগ ব্রিজ, আজিমপুর, বাংলামটর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া, কমলাপুরসহ বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকায় ফুটওভার ওভারব্রিজগুলো ঘুরে দেখা গেছে অল্প কিছু পথচারী ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করলেও অধিকাংশকই ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছেন।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরগেট ফুটওভার ব্রিজের সামনে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা গেছে দুই-একজন ছাড়া বাকি সবাই সড়ক দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। বাসের সামনে দিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন নাজিম উদ্দিন নামের এক পথচারী। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে কেন এভাবে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজধানীর ওভারব্রিজগুলো মধ্যে এইটা একটা প্রায় অনুপযোগী ওভারব্রিজ। এর ওপর ছিন্নমূল মানুষের বসবাস এখানে। এছাড়া মাদকসেবী, হকার,ময়লা আবর্জনা থাকায় তা ব্যবহারে অনেকটা অনিচ্ছা কাজ করে।
একই সময় আরেক পথচারী জুবায়ের রহমান বলেন, রাতে বেশিরভাগ ওভারব্রিজ থাকে ছিন্নমূল মানুষ ও হকারের দখলে। এছাড়া রাতে ওভার ব্রিজ ব্যবহারের সময় অনেকেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। তবে এখন অনেক ফুটওভার ব্রিজে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, সেগুলো দিয়ে মানুষ ঠিকই পারাপার হচ্ছে। আর যেগুলোতে এখনো পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি সেগুলো মানুষ ব্যবহার করছে না। সেক্ষেত্রে রাস্তা দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, চলন্ত সিঁড়ি স্থাপন ছাড়াও বেশিরভাগ ফুটওভার ব্রিজে ফুলের সৌন্দর্য এবং সবুজ গাছ লাগানোর কারণে সেগুলো ব্যবহারে রাজধানীবাসীর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বাকি সব ওভারব্রিজও হকারমুক্ত এবং পথচারীদের ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।