ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাগো নিউজের শাহেদ শফিক

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৮  নভেম্বর  ২০১৬

ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাগো নিউজের শাহেদ শফিক

ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাগো নিউজের শাহেদ শফিক

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জাগোনিউজ২৪.কমের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহেদ শফিক। অনলাইন মিডিয়া বিভাগে মানবাধিকারবিষয়ক সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য আজ তিনি এই পুরস্কার পান। এছাড়া আরো তিনটি বিভাগে মোট ২৭ জন সাংবাদিক ডিআরইউয়ের এই পুরস্কার পেয়েছেন।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল হলে ‘ওয়ালটন-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। রিপোর্টারদের পেশাগত কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে সংগঠনটি।

গত বছরের ডিসেম্বরে উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা এবং তাদের মানবাধিকার বিষয়ে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেন শাহেদ শফিক। প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের পর উপকূলীয় অঞ্চলের প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার টনক নড়ে। এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আজ এই পুরস্কার পেলেন।

শাহেদ ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও এ বছর টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৬ পেয়েছেন। একই বছর শিক্ষা বিষয়ে টিআইবির ফেলো হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে জাগোনিউজ২৪.কমের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। এছাড়া তিনি উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উপকূল বাঁচাও আন্দোলনের (উবা) আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০০৫ সালে দৈনিক যায়যায়দিনের হাতিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার মধ্য দিয়ে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। এ ছাড়াও বাংলানিউজ২৪ডটকম, দৈনিক সকালের খবর ও মোহনা টেলিভিশনের হাতিয়া প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

২০১২ সালের বাংলামেইল২৪ডটকমে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যমুনানিউজ২৪ডটকমে কিছুদিনের জন্য কাজ করেন। এরপর যোগ দেন জাগোনিউজ২৪.কমে।

সাংবাদিকতা ছাড়াও শাহেদ শফিকের পদাচরণ রয়েছে সাহিত্যাঙ্গনে। খুব অল্প বয়সে ‘ভোরের পাখি’ ও ‘পল্লি মা’ নামে তার দুটি ছড়াগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে আরো কয়েকটি গ্রন্থ। তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।

 

Related posts