ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা বাড়ছে, আমলে নিচ্ছে না ইসি

 

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা বাড়ছে, আমলে নিচ্ছে না ইসিইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে বিভিন্ন জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটছে। এ সহিংসতা আরো বাড়বে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে তলব করার বদলে এক নির্বাচন কমিশনার ঘুরছেন তাদের দফতরে। এ নিয়ে হাস্যরসেরও সৃষ্টি হয়েছে খোদ ইসিতে। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন,  ঝুঁকিপূর্ণ সব কেন্দ্রের জন্যই বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সহিংসতারোধে সব ধরনের নির্দেশনা রয়েছে ইসির। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই।

সর্বশেষ বরিশালে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। বুধবার সকালে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সমির চারু (৩০) আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চুন্নুর সমর্থক ছিলেন।

ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রিক সংঘর্ষে গত সোমবার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর এক ভাগনে নিহত ও আরো দু`জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, লালমনিরহাট, বরিশাল ও কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৬৩ জন।

বুধবার পর্যন্ত গত ২২ দিনে নির্বাচন কেন্দ্রিক সংঘাতে সাতজন মারা গেছেন। ১৩ মার্চ কিশোরগঞ্জের বেরুয়াইল গ্রামে একজন, ১০ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে একজন, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে ৯ মার্চ একজন, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ৮ মার্চ একজন, ২২ ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নে একজন নিহত হন।

এদিকে, গোয়েন্দা সংস্থা ইসিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আগামীতে হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনাও বাড়তে পারে। এজন্য নির্বাচন কশিমনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়। প্রতিবেদনে খুলনায় ৭১ শতাংশ ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হচ্ছে না। কেন্দ্র ও আশেপাশের নিরাপত্তায় র‌্যাব, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বলে ইসি সূত্র জানায়।

এদিকে, ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন ইসির অধিনে। কিন্তু নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটলেও ইসি তা আমলে নিচ্ছে না। বরং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বশেষ অবস্থা জানতে কমিশনার জাবেদ আলী সোমবার বিকেল ৩টা থেকে তাদের সদর দফতরে দফতরে ঘুরছেন। সাংবিধানিক এ সংস্থার একজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বশেষ অবস্থা জানতে তাদের সদর দফতরে যাওয়ায় ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেছেন ইসির কর্মকর্তারা।

 

Related posts