শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৫ জানুয়ারি ২০১৭
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের কোন গ্রামই বিদ্যুতহীন থাকবে না। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে প্রতিটি পাড়া-মহল্লা। আগামী ২০২০ সালের মধ্যেই ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছবে।
তিনি আজ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দত্তগ্রাম-ঢেউনগর এলাকার শুভগ্রাম বিদ্যুৎতায়নের মাধ্যমে ২শ’ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাসিব মনিয়া, পল্লী বিদ্যুতের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম, শেওলা ইউপির চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিন, পল্লী বিদ্যুতের বিয়ানীবাজার শাখার ডিজিএম আজিজুর রহমান সরকার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্টার আব্দুল খালিক, শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শুক্কুর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এড. আব্বাছ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবদুল কুদ্দুছ টিটু ও পল্লী বিদ্যুৎ পরিচালক শফিউল ইসলাম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিল্পায়ন ও উন্নত জীবনব্যবস্থায় বিদ্যুৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ বিষয়টি অনুধাবন করে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে।
দেশের বিদ্যুৎ খাতের টাকা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় না করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতিটি সেক্টরে লুটপাট করেছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা পেতে এখন আর কাউকে শহরে যেতে হয় না। নিজ ঘরে বসে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সামগ্রিকভাবে শিল্পোন্নয়ন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে যাতে শিল্প উন্নয়ন ঘটতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্রকারী দেশি ও বিদেশি একটি চক্র প্রথমে বিদ্যুৎ খাতের টুঁটি চেপে ধরতে চায়। এজন্য পরিবেশ বিপর্যয়ের ধোয়া তুলে কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্টের বিরুদ্ধে চক্রটি একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাতে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে না পারে, সে অপচেষ্টা অব্যাহত আছে।