শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৫ অক্টোবর ২০১৬
বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রীই হবেন মার্কিন ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক হাফিংটন পোস্টের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্টবিষয়ক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুযায়ী, হিলারির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা ৮৩.৬ শতাংশ। অন্যদিকে রিপাবলিকান দলের বিতর্কিত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ীর সম্ভাবনা মাত্র ১৬.৩ শতাংশ।
হাফিংটন পোস্ট ফোরকাস্ট মডেলের জরিপে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩৮ ইলেক্টরাল ভোটের মধ্যে ৩০০-এর বেশি ভোট পেতে পারেন সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন। অঙ্গরাজ্যগুলোর সম্ভাব্য জয়ের হিসাব অনুযায়ী ৩২৩টি ইলেক্টরাল ভোট পেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীর ২৭০ জন ইলেক্টরাল কলেজের সমর্থন প্রয়োজন। যেসব অঙ্গরাজ্য ডেমোক্রেটিক দলের ঘাঁটি বলে পরিচিত সেসব অঙ্গরাজ্য ছাড়াও ওয়াশিংটন, মিশিগান, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা ও নেভাদায় হিলারির জনসমর্থন বেড়েছে। তবে ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা ও নেভাদায় সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হতে পারেন হিলারি। আর সেটা হলেও হিলারির ইলেক্টরাল কলেজের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৭৩-এ।
অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টরাল কলেজের সমর্থন পাওয়ার পথ মোটেই সহজ নয় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। জরিপ অনুযায়ী তিনি মাত্র ২১৫টি ইলেক্টরাল ভোট পেতে পারেন। এই ২১৫টি ভোট জোগাড় করতে হলেও ট্রাম্পকে নেভাদা, ওহাইও, ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলিনায় জয়লাভ করতে হবে। এসব অঙ্গরাজ্যে জয়সহ ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন দাঁড়াবে মাত্র ১৬.৩ শতাংশ।
মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। জনগণ ভোট দিয়ে প্রতিটি রাজ্যে ইলেক্টরাল কলেজ নির্বাচিত করেন। ৫০ অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ৫৩৮ ইলেক্টরাল কলেজ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। একেক রাজ্যে ইলেক্টরাল ভোটের সংখ্যা একেকরকম। যে রাজ্যে যে দল বেশি ভোট পান, ওই রাজ্যের সব ইলেক্টরাল ভোটের সমর্থন জয়ী দলের বলে ধরে নেয়া হয়। হিলারি যেসব অঙ্গরাজ্যে হারতে পারেন, সেসব রাজ্যে ইলেক্টরাল ভোটের সংখ্যা কম।
এছাড়া সিএনএন/ওআরসি পরিচালিত নতুন এক জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। মঙ্গলবার প্রকাশিত জরিপের ফল অনুযায়ী, হিলারির প্রতি সমর্থন ৪৭ শতাংশ ও ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ৪২ শতাংশ। এদিকে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর রানিংমেট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত নয়টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাতটায়) বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন।
ভার্জিনিয়ার ফার্মভিলে লংউড ইউনিভার্সিটিতে এ বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী গভর্নর মাইক পেনসি এবং ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী সিনেটর টিম কেইন। এই বিতর্কের আগে অনলাইন জরিপ চালায় এসএসআর নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাতে দেখা যায়, ৪০ শতাংশেরও বেশি মার্কিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নাম জানেন না। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের রানিংমেটদের নাম। কিন্তু এদের ৪১ শতাংশই সঠিকভাবে তাদের চিহ্নিত করতে পারেননি এবং ৪৬ শতাংশ ডেমোক্রেট দলীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নাম নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।