শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৭ জুলাই ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট দ্বারা পরিচালিত সহিংসতা ঘটনা ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার মত মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মুখোশ উন্মোচনসহ প্রকৃত ঘটনা দেশবাশীকে অবগত করেছে। ফলে, সহিংস ও অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত। এদেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে স্বাধীনতাবিরোধী এ পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই। আর বিএনপি জামায়াতের ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে।’
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম (বাজেট) অধিবেশনে সাতক্ষীরা- ২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে সংসদ সদস্য ড. দিপু মনির এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে, জোটগত ভাবে ও প্রশাসনিকভাবে আমরা কাজ করছি। যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মত ঘটনা ঘটনাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট সরকার গঠন করে। ্আর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ফলে এদেশের ধর্মভীরু ও শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তায় জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) পেট্টোল বোমা মেরে, হরতাল করে ও অবরোধ করে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সফলতা না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে নিরাপরাধ বিদেশি নাগরিকদের টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করেছে। একইসঙ্গে ব্লগার, প্রকাশক, প্রগতিশীল লেখকদেকদেরও হত্যার মাধ্যমে পুরনায় এদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাতে অপতৎপরতা শুরু করে।’
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত ঘটনা এদেশের ইতিহাসে এক ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটে। যদিও জঙ্গিবাদ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মসজিদে খুতবা ও বয়ানের সময় সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করে এরূপ বক্তব্য যাতে প্রচারিত হতে না পারে সে জন্য সারা দেশের মসজিদগুলোতে ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা, সন্ত্রাসীদের প্রতি অভিভাবকদের দায়-দায়িত্ব এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে সাধারণ মানুষতের উদ্বুদ্বকরণের লক্ষ্যে অভিন্ন খুতবা প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস কখনোই এ দেশে প্রতিষ্ঠা পাবে না। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ তা হতে দিবে না।’
ড. দিপু মনির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে দেশবাসীর সচেতনতা প্রয়োজন। দেশবাসীর সচেতনতার মাধ্যমেই জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব হবে। বিএনপি-ক্ষমতায় এসে তাদের (জঙ্গিদের) রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বেও বিভিন্ন রাষ্ট্রেও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এটা এখন বিশ্বব্যাপী একটি ব্যধির মত ছড়িয়ে পড়েছে। ১ জুলাই ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।