সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান

সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থান দিবসের প্রাক্কালে আজ প্রদত্ত এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।

দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতিও তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। স্বায়ত্তশাসনসহ ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬ দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং তা সারা পূর্ব বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বাম রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণআন্দোলনকে বেগবান করে তোলে। তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক, ছাত্র-শিক্ষক, জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।

শহীদ মতিউরসহ অন্যান্য শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর, যা ছিল জনগণের মহাবিজয়।

তিনি বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

 

Related posts