শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬ জানুয়ারি ২০১৭
ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া হলো এক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণত পচা, বাসি খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবার, জীবাণুযুক্ত খাবার ও পানীয়, ময়লাযুক্ত থালা বাসনে খাবার খেলে তা থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে। অনেকে ফুড পয়জনিং আর ডায়রিয়াকে একই মনে করেন। তবে তা ঠিক নয়।
পেট খারাপ কিংবা ডায়রিয়া হলেই তা ফুড পয়জনিং নয়। একমাত্র খাবার থেকে সংক্রমণ হলেই তাকে ফুড পয়জনিং বলে। ফুড পয়জনিং মূলত সব বয়সের মানুষেরই হতে পারে। তবে শিশুরাই এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। আর এটি শিশুর জন্য মারাÍক ঝুঁকির কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এক্ষেত্রে মা-বাবাকে সতর্ক থাকতে হবে।
শিশুর হাতের নখ সব সময় ছোট রাখুন। এবং হাত পরিষ্কার রাখুন।
পানি থেকেই সাধারণত সংক্রামক রোগ হওয়ার আশংকা বেশি থাকে। তাই কখনোই ফুটানো পানি ছাড়া পান করানো উচিত নয়।
বাইরের কেনা খাবার থেকে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশংকা খুব বেশি থাকে। তাই এসব খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। আর খাওয়ালেও প্যাকেটজাত খাবারে মেয়াদ আছে কিনা দেখে নিন।
রান্না এবং খাওয়ার সময় হাঁড়ি-পাতিল, থালাবাসন ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। একই সঙ্গে রান্না এবং খাবার পরিবেশনের সময় আপনার নিজের হাতটিও পরিষ্কার রাখুন।
ফিডার, নিপল, ফ্লাস্কের মুখে মাছি বা তেলাপোকা বসলে সেই ফ্লাক্স কিংবা ফিডারে দুধ খেলে ফুড পয়জনিং দেখা দিতে পারে।
অনেকেই নষ্ট হয়নি এমন বাসি খাবার খেতে দেন। এটা করা উচিত নয়। যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খেতে দেয়া উচিত। ফ্রিজে রাখা কয়েকদিনের খাবার তাকে খেতে দেয়া উচিত নয়। তা নষ্ট হোক আর নাই হোক।
খাবার সব সময় ঢেকে রাখুন। তা না হলে মাছি কিংবা অন্যান্য কীটপতঙ্গ খাবারে বসে জীবাণু ছড়াতে পারে। খাবার যেন কোনোভাবেই দূষিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।