শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৩১ আগস্ট ২০১৬
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবি শহীদ কাদরীর মরদেহে সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এরপর শহীদ মিনারে ঢল নামে মানুষের।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন বীরবিক্রম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।
এরপর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, ডা. দিপুমনি, ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে মুনতাসীর মামুন, বিটিভির পরিচালক কবি নাসির আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, স্রোত আবৃত্তি সংসদের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কবির মরদেহ তার ভাইয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার স্ত্রী নীরা কাদরী ও ছেলে আদনান কাদরী ছিলেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রতিনিধিরা।
নিউ ইয়র্কের নর্থ শোর বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবির বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন শহীদ কাদরী। পাঁচ বছর ধরে হুইল চেয়ারে বসেই চলাফেরা করতেন তিনি।
পঞ্চাশ উত্তর বাংলা কবিতায় আধুনিক মনন ও জীবনবোধ সৃষ্টিতে যে কয়জন কবি উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদ কাদরী। আধুনিক নাগরিক জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম, স্বদেশ চেতনার পাশাপাশি বিশ্ব-নাগরিক বোধের সম্মিলন ঘটে তার কবিতায়। উত্তরাধিকার, তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা, কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই ও আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও-এসব কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে বাংলার জনপ্রিয় কবিদের একজন শহীদ কাদরী। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি ও ২০১১ সালে তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়।
১৯৪২ সালের ১৪ অগাস্ট কলকাতায় জম্ম নেওয়া শহীদ কাদরী সাতচল্লিশে দেশ ভাগের পর বাংলাদেশে আসেন। ১৯৭৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের বাইরে তিনি। জার্মানি, ইংল্যান্ড হয়ে ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হন তিনি।