শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১২ অক্টোবর ২০১৬
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে তৃতীয় সাফল্য এনে দিয়েছেন শফিউল ইসলাম। এই পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে জনি বেয়ারস্টো করেছেন ১৫ রান। শফিউলের পরের ওভারে আবার আঘাত। স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়েছেন বেন ডাকেট (৬৩)। ২৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৩৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে অতিথিদের সংগ্রহ ১৮৫ রান।
এর আগে সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা স্যাম বিলিংসের সাবলীল ব্যাটিং দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের দুশ্চিন্তা দূর করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মোসাদ্দেকের বল সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়ার আগে বিলিংস করেছেন ৬২ রান। ওয়ানডেতে এটাই তাঁর প্রথম অর্ধশতক।
জেমস ভিন্স ও বিলিংসের উদ্বোধনী জুটিও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে বল হাতে পেয়ে নিজের প্রথম ওভারেই ভিন্সকে (৩২) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন নাসির হোসেন। ৬৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিলিংস ও ডাকেট। ঠিক তখনই মোসাদ্দেকের সৌজন্যে দ্বিতীয় সাফল্য পেয়েছে মাশরাফির দল।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ। আগের ম্যাচে চার উইকেট নেওয়া অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রথম ওভারই ছিল মেডেন।
এর আগে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৬৭ রানের চমৎকার ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ২৭৭ রান করেছে বাংলাদেশ। দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে সাব্বির রহমান (৪৯), ইমরুল কায়েস (৪৬), তামিম ইকবাল (৪৫) ও মোসাদ্দেক হোসেনের (অপরাজিত ৩৮) অবদানও কম নয়।
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম। আরেকটি কীর্তিও গড়েছেন চট্টগ্রামের ‘ঘরের ছেলে’। তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন তিনি। দুই বাঁহাতি ওপেনারের ৮০ রানের রেকর্ড জুটির পর একসময় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল মাশরাফির দল। কিন্তু মুশফিক-মোসাদ্দেকের ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিয়েছে স্বাগতিক দলকে।