যুদ্ধশিশু ও বীর মাতারা বীর মাতারা সম্মানের পাত্র : তথ্যমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৪  জানুয়ারি ২০১৭

যুদ্ধশিশু ও বীর মাতারা বীর মাতারা সম্মানের পাত্র : তথ্যমন্ত্রী

যুদ্ধশিশু ও বীর মাতারা বীর মাতারা সম্মানের পাত্র : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যুদ্ধশিশু ও বীর মাতারা বীর মাতারা সম্মানের পাত্র ,অনেক নারীকেই সব হারাতে হয়েছে, কিন্তু তারা আপোষ করেননি। সেই বীর নারীরা, বীর মাতারা সম্মানের পাত্র, আর তাদের গর্ভের নিষ্পাপ শিশুরাও মমতার দাবিদার।

যুদ্ধশিশু এবং বীর মাতারা কোন পাপ করেনি, তাদের মমতা এবং সম্মান দেয়ার সৎ সাহস আমাদের অর্জন করতে হবে।

সোমবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে একটি উপন্যাস গ্রন্থের প্রকাশরা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘রৌদ্রবেলা ও ঝরাফুল’নামক উপন্যাস গ্রন্থটিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদারদের নারী নির্যাতন ও লাখো নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনায় জন্ম নেয়া যুদ্ধশিশুদের কথা উঠে এসেছে। কথাসাহিত্যিক মাসুদ আহমেদ গ্রন্থটির রচয়িতা।

অনুষ্ঠানে বরেণ্য সমাজসেবী ও সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল সভাপতিত্ব করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি পুরুষরা আত্মরক্ষা ও দেশরক্ষা এই দু’য়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু নারীরা তিনটি বিষয় রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছেন। তা হলো- আত্মরক্ষা ও দেশরক্ষার পাশাপাশি তাদের ইজ্জত রক্ষারও যুদ্ধ করতে হয়েছে।

যুদ্ধশিশুরা লুকিয়ে থাকলে, সত্যিকার পাপিষ্ঠ হানাদররা প্রশ্রয় পাবে, তাই তাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবেনা  উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ তার মায়ের পরিচয়েই বড় হতে পারে, ধর্মেও এতে কোনো বাধা নেই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পাকিস্তানী হানাদারদের বর্তমান দোসরদের ধ্বংসের বিকল্প নেই। কারণ, একাত্তরের দানবেরা আর এখনকার জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা একই সূত্রবদ্ধ। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। এদের ধ্বংস অনিবার্য।

গ্রন্থটির রচয়িতা কম্পট্রোলার এ্যান্ড অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব নওয়াজীশ আলী খান এবং অন্যপ্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মাযহারুল ইসলামঅনুষ্ঠানে গ্রন্থটির ওপর আলোকপাত করেন।

 

Related posts