যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে ওবামার বিশেষ উদ্যোগ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৩  ডিসেম্বর  ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে ওবামার বিশেষ উদ্যোগ

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে ওবামার বিশেষ উদ্যোগ

অন্য কোনো দেশ থেকে আমেরিকায় কোনো মুসলমান যেন আর ঢুকতে না পারে- নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন এমন কোনো উদ্যোগ না নিতে পারেন সেজন্য উদ্যোগী হয়েছেন বিদায় নিতে যাওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

ওবামা চেষ্টা করছেন প্রবাসীদের নথিভুক্ত করার ‘জাতীয় নিরাপত্তা প্রবেশ-বহির্গমন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’টি বাতিল করতে। তিনি মনে করছেন ট্রাম্প মুসলমানদের বিরুদ্ধে এর অপব্যবহার করতে পারেন। এ সিস্টেমটি বর্তমানে সুপ্ত করে রাখা হয়েছে।

নির্বাচনের সময় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন কোনো মুসলমানকে আমেরিকায় ঢুকতে দেয়া হবে না। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি এর সংশোধন করে বলেছিলেন, যেসব দেশ সন্ত্রাসের মদত দেয় সেসব দেশ থেকে কোনো মুসলমানকে আমেরিকায় ঢুকতে দেয়া হবে না।

তবে নির্বাচনের জয়ের পর টিম ট্রাম্প ঘোষণা করে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান রেজিস্ট্রি সিস্টেম মুসলমানদের ব্যাপারে চালু করতে যাচ্ছে।

ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পেতে যাওয়া ক্রিস কোবাসও ট্রাম্পকে এ সিস্টেমের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন।

ওই সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি দেশের মধ্যে ২৪টিই ছিল মধ্যপ্রাচ্যের এবং অপরটি উত্তর কোরিয়া।

ওয়ান-ইলেভেনের পর এ সিস্টেমটি চালু করা হলেও ২০১১ সালের পর থেকে এটি আর ব্যবহার করা হচ্ছে না।

এ সপ্তাহে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে এ পরিকল্পনার কথা আবারো প্রকাশ করলেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ওবামা এখন চেষ্টা করছেন প্রবাসীদের দ্বারা গড়া আমেরিকায় যেন সব প্রবাসির সমান প্রবেশাধিকার বিদ্যমান থাকে। মুসলমানদের ব্যাপারে যেন আলাদা কোনো নিষেধাজ্ঞা বহাল না করা হয়।

কংগ্রেসের ৫১ সদস্যসহ ডেমোক্রেটরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাম ঘরানার সিটি মেয়ররাও বলেছেন, তারা ট্রাম্পের এ নীতিকে সমর্থন করবেন না।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওবামা প্রশাসন এ সিস্টেমটি বাতিলের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। এ সপ্তাহেই কাজ শুরু হবে এ নিয়ে।

মার্কিন হোমল্যান্ড ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নিমা হাকিম টাইমকে বলেছেন, প্রোগ্রামটি ছিল ‘অপ্রচলিত’ ও ‘পুরনো’।

ট্রাম্পের বিতর্কিত কিছু নীতির প্রয়োগ ঠেকাতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে ওবামা প্রশাসন।

সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

 

Related posts