শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৭ জুন ২০১৬
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উৎসব ভাতা অর্থাৎ ঈদ, পহেলা বৈশাখ, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর বোনাস প্রদানের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রোববার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি অর্থমন্ত্রীর কাছে এ দাবি জানান।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সকলে ঈদ বোনাস পাবে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না। ঈদ বোনাস তাদের ন্যায্য দাবি। আর ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের দিন। এই দুই দিনেও বিশেষ ভাতা প্রাপ্য তাদের। বোনাস হিসেবে দুই ঈদে ৪ হাজার করে দিলে ৮ হাজার, বৈশাখীতে ২ হাজার, ২৬ মার্চ ৫ হাজার ও ১৬ ডিসেম্বর ৫ হাজার টাকা দিলে এক বছরে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। আর এ জন্য মোট খরচ হয় ৪০০ কোটি টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিনি এই টাকা বরাদ্দের দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ৩৬০ উপজেলা ও ৬০টি জেলায় কমপ্লেক্স করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে, যারা মুজিবনগর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কলা-কুশলী-পরিচালনাকারী, মেডিকেল টিমে যারা কাজ করেছে, এমনকি যারা বীরাঙ্গনা তাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাখা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান একই ডিজাইনে সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশ বিক্রি হয়ে গেছে, এর যথাপযুক্ত প্রমাণ দিন। নির্বাচনের পর গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস করেও সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যায়নি। পরে বিদেশিদের হত্যা করে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এখন তারা বলছে নির্বাচন দিলে নাকি গুপ্তহত্যা বন্ধ হবে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন যদি হত্যাকারীদের সঙ্গে আঁতাত না থাকে, তাহলে একথা তারা কিভাবে বলছে?