শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৩০ অক্টোবর ২০১৬
দ্বিতীয় দিন বল হাতে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ‘স্কোরবোর্ডে যত রানই থাকুক আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’ মিরাজ কথা রেখেছেন। স্কোরবোর্ডে ২৭৩ রানের টার্গেট দিয়ে প্রাণপণ লড়ে গেছেন।
রোববার তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে ২৭৩ রানের টার্গেট দেয়। এশিয়ার মাটিতে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই ইংল্যান্ডের। শেষবার ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১ করে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ৬ বছর পর একই লক্ষ্যের শুরুতে দারুণ ব্যাটিং করেছে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বেন ডাকেট ও অ্যালিস্টার কুক। ২৩ ওভারে মাত্র ৮৩ মিনিটের ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান তুলে চা-বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। তাসের ঘরের মত ভাঙতে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। মেহেদী হাসান মিরাজ ৬টি ও সাকিব আল হাসান ৪টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ হঠাৎ পাল্টে যাওয়ার রহস্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল একটি ব্রেক থ্রু হলেই আমরা ম্যাচে ফিরতে পারব। এই বিশ্বাসই আমাদের পাল্টে দিয়েছে।’
ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমের পরিবেশ জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমরা জিতলে সবার ভালো লাগবে এবং আনন্দ করবে সেটা বুঝতে পারিনি। সবাই খুব খুশি। খুব মজা করছে।’
সবার সঙ্গেই ভালো লাগে জুটি করতে। বিশেষ করে সাকিব ভাই আছে অনেক অভিজ্ঞ বোলার। সে যখন বোলিং করে আমি তখন তার বোলিং দেখি কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে বোলিং করে। কিভাবে হ্যান্ডেল করে সিচুয়েশনটা সেটা আমি অ্যাডোপ্ট করার চেষ্টা করি। তাইজুল ভাই অনেক ভালো বোলার, সে খুব ভালো জায়গায় বল করে। সে সবসময় রান চেক দেওয়ার মত বল করার চেষ্টা করে।
প্রথমবারের মত জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মিরাজ শুনালেন ভিন্ন গল্প, ‘মুশফিক ভাই, সাকিব ভাই, তামিম ভাই যেভাবে আমাকে সমর্থন করেছে তাতে মনে হয়নি যে আমি প্রথম জাতীয় দলে খেলছি। আমার মনে হয়েছে আমি অনেক দিন থেকেই জাতীয় দলে খেলছি। আমার এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি আমি জাতীয় দলে নতুন ঢুকেছি।’