শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১ নভেম্বর ২০১৬
সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোম্পানির করা আপিল শুনানি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। এই বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন। আদালতে আজ সিটিসেলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর সিটিসেল বন্ধে সরকারের সিন্ধান্ত বহাল রেখে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি- এই অভিযোগে সিটিসেলের কার্যক্রম (স্প্রেকট্রাম বা তরঙ্গ) স্থগিত করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে সোমবার আবেদন করে সিটিসেল।
বিটিআরসি দাবি করছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং অবশিষ্ট টাকা দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সিটিসেল তাদের হিসেব মতো বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি টাকা বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে। কিন্তু বিটিআরসি দাবি করে প্রথম কিস্তির টাকার অঙ্ক ৩১৮ কোটি টাকা। টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের এই মতবিরোধের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দেন।
এ পরিস্থিতিতে তরঙ্গ বরাদ্দ ফিরে পেতে সিটিসেল আপিল বিভাগে এই আবেদন করে। এ প্রসঙ্গে সিটিসেলের আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আদালত যে কিস্তি নির্ধারণ করে দেন তা দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে টাকার অঙ্ক নির্দিষ্ট করার নির্দেশনা ছিল। বিটিআরসির সিটিসেলকে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা বরাদ্দ দেয় ৮ দশমিক ৮২ মেগাহার্টজ। এই হিসাবে বিটিআরসির কিস্তি পাওনা হবে ১৪৪ কোটি টাকা। সে টাকা সিটিসেল জমা দিলেও বিটিআরসি তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দেয়।