‘বাঘাবাড়ী আসল গাওয়া ঘি’নামে আমরা কি খাচ্ছি!

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৮   জুন ২০১৬

পাম অয়েল, মাস্টার গাম, এক ধরনের কেমিক্যাল, ফ্লেভার, রং দিয়ে ‘বাঘাবাড়ী আসল গাওয়া ঘি’ তৈরির প্রমাণ পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

‘বাঘাবাড়ী আসল গাওয়া ঘি’নামে আমরা কি খাচ্ছি!

‘বাঘাবাড়ী আসল গাওয়া ঘি’নামে আমরা কি খাচ্ছি!

রোববার (২৬ জুন) নগরীর বাকলিয়া থানার চাক্তাই আমিন হাজি রোডের পোড়াভিটা এলাকায় এ নকল ঘি কারখানায় হানা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক এবং নুর আলম উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহায়তা করেন এপিবিন, আনসার ব্যাটালিয়ন ও ক্যাব সদস্যরা।

রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, সুজিত আলীর বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ইব্রাহিম নামের এক লোক ‘বাঘাবাড়ী আসল গাওয়া ঘি’ প্রস্তুত করছিলেন। খবর পেয়ে কারখানার পেছন দিয়া পালিয়ে যান প্রস্তুতকারক। কারখানায় তল্লাশি কোনো প্রকার দুধ তো দূরে থাক দুধের প্যাকেটও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, সরবরাহের জন্য তৈরি ৩২৭ কৌটা ঘি জব্দ করা হয়। প্রস্তুত করা এক কড়াই (আনুমানিক ২০ কেজি), পাম অয়েলের পাঁচটি ড্রাম, ৫ কেজি রং ও কেমিক্যাল এবং ৫ হাজার খালি কৌটা চাক্তাই খালে ফেলে নষ্ট করা হয়েছে।

একই অভিযানে স্থানীয় এমএইচ প্যাকেজিং নামের একটি পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান উৎপাদন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এ সময় মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এত পাতলা পলিথিন বানানো অপরাধ সেটি জানেন কিনা।  তিনি উত্তরে জানান যে, তারা মোটা পলিথিন বানাবেন বলে পরিবেশ থেকে ছাড়পত্র এনে পাতলা (নিষিদ্ধ) পলিথিন বানান,  যেটা নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয়।

নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ৬(ক) ধারা লংঘনের দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় কাখানার ম্যানেজার মোহাম্মাদ এয়াছিনকে।

এ সময় পাঁচটি পলিথিন তৈরির বুলিং মেশিন, তিনটি কাটিং মেশিন, ২৫ কেজি ওজনের ১২ বস্তা পলিথিন তৈরির কাঁচামাল, ১০০ কেজি তৈরি পলিথিন, ১০ কেজির ১৪টি পলিথিন রোল জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

 

Related posts