শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
আফগানিস্তানের বোলিংয়ের সামনে অলআউটই হতে হলো বাংলাদেশকে। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন তাইজুল ইসলাম। অলআউট হওয়ার আগে আফগানদের সামনে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে টাইগাররা।
শেষ ১০ ওভারেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। স্লগ অভার বলে পরিচিতি পেলেও ১০ ওভারে রান উঠেছে ৬৯টি এবং বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে ৭টি। না হয়, নিশ্চিত বাংলাদেশের ইনিংসের সঙ্গে আরও ২০, ৩০ রান বেশি যোগ হতো।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশকে ধাক্কাটা দিয়ে দিলেন সৌম্য সরকার। ইনিংসের পঞ্চম বলেই দৌলত জাদরানের বলে পুল করতে গেলেন। বল ঠিক মত ব্যাটে লাগেনি। ক্যাচ উঠে গেলো মিডউইকেটে। খুব সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে মোটেও সমস্যা হলো না শাবির নুরির। পেস বোলিংয়ের সামনে যে সৌম্যর গুরুতর সমস্যা রয়ে গেছে- সেটা বোঝা গেলো আরেকবার।
সৌম্য সরকারের আউটটি শুরুতে কিছুটা ভড়কে দিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। তবে তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস বুঝিয়ে দিতে শুরু করলেন বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের পার্থক্য। দু’জন মিলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের রানকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান। ইনিংসটা পরিপক্ক করে আরেকটু থিতু হওয়ার মুখে আউট হয়ে গেলেন ইমরুল। আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে করলেন ৩৭ রান।
এরপরের জুটিটাও স্বপ্ন দেখালো। তামিম আর মাহমুদউল্লাহর। দু’জন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। তামিম ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। এবারও পরিণত জুটি মৃত্যুবরণ করলো অকালে। ৮০ রান করার পর লং অফে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংটা ঠিকমত করতে পারেননি তামিম। ৩৬তম ওভারের ১ম বলে মিরওয়াইজ আশরাফের বলে ক্যাচ তুলে দেন নাভিন-উল হাসানের হাতে। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও পারলেন না তিনি। ৯৮ বলে আউট হওয়ার আগে ৮০ রানের ইনিংসটি সাজালেন ৯টি বাউন্ডারিতে।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও দারুণ একটি সম্ভাবনা জাগিয়ে আউট হয়ে গেলেন ৬২ রান করে। ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি করার পর যখনই ঝড় তুলতে গেলেন, আউট হলেন ঠিক তখনই। আউট হওয়ার আগে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি ৭৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে। ইনিংসের ৩৮তম ওভারে দুটি চারসহ একটি ছক্কায় ১৬ রান তোলেন এ অলরাউন্ডার।
তামিম-মাহমুদুল্লাহ আউট হয়ে যাওয়ার পরও ভরসা করার মত ব্যাটসম্যান ছিলেন মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান কিংবা সাব্বির রহমান। সাকিব এক পাশে ইনিংসের হাল ধরে খেলার চেষ্টা করলেও দ্রুত আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহীম ৬ রান করে এবং সাব্বির ২ রান করে।
সাকিব আল হাসান চেষ্টা করেছিলেন মাশরাফিকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তোলার। ৪০ বলে ৪৮ রানের দারুণ একটি ইনিংসও খেলেন তিনি। তবে শেষ দিকে এসে একটু আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই আউট হয়েছেন সাকিব। ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফ সেঞ্চুরিটা তোলার আগে আউট হয়ে গেলেন তিনি। ইনিংসটি সাজিয়েছেন মাত্র ৩টি বাউন্ডারিতে।
শেষ দিকে ৯ বলে ১১ রান করেন তাইজুল ইসলাম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবেই আউট হন তিনি। মাশরাফি ৪ এবং তাসকিন আহমেদ আউট হন ২ রান করে।
আফগানদের পক্ষে দৌলত জাদরানই কেবল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হতে পেরেছিলেন। ৭৩ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি এবং রশিদ খান। ১টি করে উইকেট নেন নাভিন-উল হক এবং মিরওয়াইজ আশরাফ।