শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৩ অক্টোবর ২০১৬
প্রত্যেক মানুষের নখের গড়ন আলাদা। কারো নখ বড় আবার কারো নখ ছোট। কারো নখ চওড়া আবার কারো নখ সরু। এ ছাড়া নখের মধ্যে লক্ষণীয় অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রেই আলাদা। যেমন নখের মধ্যে অর্ধচন্দ্রিমা চিহ্ন। কারো নখে এ চিহ্ন থাকে আবার কারো নখে এ চিহ্ন থাকে না।
নখের গোড়ার দিকে চিকন সাদা অংশকে অর্ধচন্দ্রিমা বলে। কারো কারো হাতে এটি থাকে ছোট আকারে আবার কারো হাতে থাকে বড় আকারে। মেডিকেল অ্যাস্ট্রোলজির সূত্রমতে, নখের অর্ধচন্দ্রিমা দেখে থাইরয়েড সম্পর্কে জানা যায়। কোনো নখে যদি অর্ধচন্দ্রিমা না থাকে তবে তা থাইরয়েডজনিত সমস্যা বোঝায়।
থাইরয়েডে সমস্যার ফলে হতাশা, স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, চুলসংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে চুল পাতলা হয়। প্রতিটি নখে অর্ধচন্দ্রিমা থাকা ভালো।
অনেকের হাতে নখের প্রায় অর্ধাংশজুড়ে অর্ধচন্দ্রিমা থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এ ধরনের চিহ্ন শারীরিক ও মানসিক বিশেষ কোনো ধরনের সমস্যা কিংবা ভারসাম্যহীনতা সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়।
শুধু হাতের কিছু চিহ্ন দেখেই পূর্বাভাস করা ঠিক নয়। কোনো বিষয় পূর্বাভাসের সময় হাতের অন্যান্য মাউন্ট বা গ্রহাবস্থানগুলো ভালোভাবে দেখে নেওয়াও প্রয়োজন।
কিছু কিছু মানুষের নখ টিয়া পাখির মুখের মতো নিচের দিকে বাঁকা হয়ে যায়। হঠাৎ করে যদি কারো নখে এমন চিত্র দেখা যায় তবে বুঝতে হবে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে। সাধারণত যাদের লিভার ও পাকস্থলীসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের হাতের নখ এভাবে নিচের দিকে বাঁকা হয়ে যায়। অনেক সময় হার্টের অসুস্থতা থাকলেও এমনটি হতে পারে।
কিছু মানুষের নখের ভেতর লম্বা কালো, নীল বা হালকা লাল দাগ দেখতে পাওয়া যায়। যখন নখের ভেতর প্রয়োজনীয় রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহজনিত সমস্যা হয় তখন নখে এ ধরনের চিহ্ন ফুটে ওঠে। এ ছাড়া শরীরে দূষিত রক্তের প্রভাবেও এমনটি হতে পারে। যাদের চর্মরোগ রয়েছে তাদের নখের ভেতরও এ ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে।
এ ছাড়া শরীরে জিংক, ভিটামিন বি ১২ ও প্রোটিনের অভাবে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগব্যাধি সম্পর্কে জানা যায় হাতের নখ দেখে।
আপনার নখে এ ধরনের কোনো কিছু দেখা গেলে ‘প্রবীণ’ কোনো চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
লেখক : অ্যাস্ট্রোলজার অ্যান্ড সাইকিক কনসালট্যান্ট
কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোলজার্স সোসাইটি, ঢাকা।