শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬ অক্টোবর ২০১৬
নারীদেহে অবাঞ্ছিত লোম যাকে হারসুটিজম বলে তা সামাজিক যন্ত্রণা ও বিড়ম্বনার কারণ। এতে দৈহিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।
কোথায় হয়- সাধারণত মুখে, বুকে ও নাভিতে হয়ে থাকে। অনেকের এ রোগের সঙ্গে মাসিকচক্রে অনিয়ম, স্তন আকারে ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে যাওয়া, গলার স্বর ভারী হওয়া ও পুরুষ সঙ্গীর প্রতি ক্রমান্বয়ে আকর্ষণ কমে যেতে থাকে। কারো কারো হারসুটিজমের সঙ্গে বন্ধা হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়।
ল্যাব পরীক্ষা- রক্তের কিছু পরীক্ষা যেমন- সুগার, ভিডিআরএল, টিপিএইচএ, এইচবিএসএজি, হরমোন এনালাইসিস, আল্ট্রাসনোগ্রাম অব হেপাটো-বিলিয়ারি সিস্টেম করা হয়।
চিকিৎসা- লেজার নামক কসমেটিক সার্জারি এর একমাত্র চিকিৎসা। নিজস্ব আলোকরশ্মির মাধ্যমে এ লোমগুলো ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দূর করা হয়।
আইপিএল নামক চিকিৎসাও বাংলাদেশে হচ্ছে, কারো কারো একাধিক সেশনের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া শারীরিক ওজন বেশি থাকলে তা কমানোর চিকিৎসা হয়। হরমোন ইমব্যালেন্স থাকলে ওষুধ দেয়া হয়। পলিসিসটিক ওভারিও হাইপো থাইরয়েডিজমেরও চিকিৎসা করা হয়।
ডা. দিদারুল আহসান
ত্বক ও যৌন ব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা