শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ত্বক চকচকে দেখানোর জন্য আমরা কতই না খরচ করি। তবে ‘স্কিন পলিশিং’য়ের এই কাজগুলো ঘরেই করা যায়। খরচও কম লাগে।
দামি সৌন্দর্য বর্ধক কসমেটিক্সে কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে যেগুলো ত্বককে সুন্দর করে। রাসায়নিক উপাদান বলতে কিছু মৌল আর যৌগ। এগুলো অন্য প্রাকৃতিক উপাদানেও থাকে। বিশেষ করে বাসায় থাকা খাদ্য উপাদানগুলো সৌন্দর্য চর্চায় যেমন কার্যকর তেমনি সহজলভ্য ও নিরাপদও।
ঘরে থাকা এইসব জিনিস দিয়ে কীভাবে ত্বক চকচকে করে ফেলা যায় তাই জানিয়েছে একটি রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইট।
গোলাপের পাপড়ি, মধু এবং ওটস: ত্বককে সর্বোচ্চ আর্দ্র করতে গোলাপের পাপড়ি, পাতলা মধু, এবং ওটস দিয়ে একটা পেস্ট বানাতে হবে। গোলাপের পাপড়ি ত্বককে উজ্জ্বল করে, মধু ত্বকে পুষ্টি জোয়ায় এবং ওটস মরা কোষ অপসারণে কাজ করে। এই পেস্টে অল্প কাঁচাদুধ দেওয়া যেতে পারে। এতে পেস্টটা পাতলা হবে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই পেস্ট স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক নরম এবং উজ্জ্বল হয়।
গুঁড়াদুধ ও দারুচিনি: ত্বকচর্চায় দারুচিনির গুণের কথা এখনও প্রায় অজানাই রয়ে গিয়েছে। দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটা ত্বকের বলিরেখা এবং বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করে। গুঁড়াদুধ ত্বকের ধুলাময়লা দূর করে ত্বককে চকচকে রাখে। এর মধ্যে সামান্য গোলাপ জল দেওয়া হলে মিশ্রণটি মেশাতে সুবিধা হবে আর একটা সুন্দর গন্ধও আসবে।
সামুদ্রিক লবণ ও ডিমের সাদা অংশ: শুনতে যতই অবাক লাগুক ডিমের সাদা অংশ একটা প্রাকৃতিক ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান। এর সঙ্গে এটি ত্বকের লোমকূপে থাকা ময়লাও দূর করে। ত্বক থেকে ব্রণের দাগ দূর করতেও এর জুড়ি নেই। সামুদ্রিক লবণ মৃত কোষ অপসারণে ভূমিকা রাখে এবং ত্বক টানটানও করে। তবে এই রূপটান লাগানোর পরে একটা মশ্চারাইজার যুক্ত সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।