শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৫ জুলাই ২০১৬
ইস্তাম্বুলের তাকসিন চত্বরে প্রদর্শিত হয় গণতন্ত্রের প্রতি তুর্কি জনতার বিরল সম্মান এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি
অনলাইন ডেস্ক:
তুরস্কে সংঘটিত ব্যর্থ সেনা-অভ্যুত্থানের নিন্দা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন জানাতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের দল একে পার্টির সহায়তায় নজিরবিহীন ঐক্য ও সংহতি সমাবেশ করেছে দেশটির বিরোধী দল সিএইচপি।
গতকাল রোববার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত লাল পতাকা ও ব্যানা হাতে নজিরবিহীন এই জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে লক্ষ জনতার জনসমুদ্রে অভ্যুত্থান বিরোধী শ্লোগান প্রদান করা হয়। সরকারী ও বিরোধী দলের মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত লক্ষ নাগরিকের এই সমাবেশটি মূলত পরিণত হয় ‘গণতন্ত্র উৎসবে’।
এই সমাবেশে সিএইপি নেতারা দ্যার্থহীন কণ্ঠে বলেন, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, রাষ্ট্রের পক্ষে। তারা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেন।
একই অভিব্যাক্তি ফুটে উঠেছে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের বহনকৃত ব্যানারগুলোতেও। তাতে লেখা ‘আমরা দেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে’ এবং ‘গণতন্ত্রের জয় হোক’। কোন কোনটিতে লেখা ছিল ‘না অভ্যুত্থান, না স্বৈরতন্ত্র’।
ইসতাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এই সংহতি সমাবেশে অনেকে আধুনিক তুর্কির প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের ছবি সম্বলিত পতাকাও বহন করেন।
রাজনৈতিক মত-পার্থক থাকা সত্তেও বিরোধী দলের এই সমাবেশে ইস্তাম্বুলের মেয়র সহ ক্ষমতাসীন একে পার্টির নেতা-কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।
সংহতি সমাবেশে বিরোধী দল সিএইচপি নেতা কেমাল কিলিসদারোগ্লু তার বক্তৃতায় বলেন, ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় তুরস্ক দুর্বল হয়নি বরং এর মাধ্যমে পার্লামেন্ট মাথ উচু করে দাঁড়িয়েছে, তুর্কি জাতি মাথ উচু করে দাঁড়িয়েছে, এমপিরা মাথ উচু করে দাঁড়িয়েছে, এই চত্বরের জনতা মাথ উচু করে দাঁড়িয়েছে এবং গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।
একই সাথে তিনি একনায়কতন্ত্র ও কর্তৃত্বপরায়নতার বিপদ সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করার পাশাপাশি বাক স্বাধীনতা, সমাবেশ করার স্বাধীনতার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র দ্বেষ, রাগ এবং কুসংস্কার দ্বারা পরচিালতি হতে পারে না। যারা অভ্যুত্থানরে জন্য দায়ী আইনরে শাসন মেনে এবং আইন সম্মতভাবে তাদের বিচার হওয়া উচিত।
সরকারপন্থী টিভি চ্যানেল সমূহে বিরোধীদলীয় এই নেতার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
-বিবিসি