ডিএসইতে ৯ শতাংশ লেনদেন কমেছে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৭মে  ২০১৭

ডিএসইতে ৯ শতাংশ লেনদেন কমেছে

ডিএসইতে ৯ শতাংশ লেনদেন কমেছে

দরপতন থামলেও লেনদেনে খরা অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। গত সপ্তাহে (২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে নয় শতাংশের ওপরে। লেনদেন কমলেও বেড়েছে বাজার মূলধন ও মূল্য সূচক।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ। ডিএসইএক্স’র পাশাপাশি সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ডিএসইর অপর দুটি সূচক। ডিএসই শরিহ সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচকটি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৯৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে ২৭০ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা ৯ দশমিক ১১ শতাংশ।

মোট লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৩৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৫৯৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৩৯টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৬৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দাম।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৩ দশমিক ৫৭ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক ২১ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।

 

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। ৮৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ডরিন পাওয়ার, অগ্নি সিস্টেম, এমজেএল বাংলাদেশ, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস, বারাকা পাওয়ার এবং এসিআই লিমিটেড।

 

Related posts