শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২০ অক্টোবর ২০১৬
প্রস্তুতির পরও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে হচ্ছে না। আগের মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনেই জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা বোর্ডগুলোর সহায়তায় এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চলছিল। তবে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে এ উদ্যোগ সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হলেও আজ (বৃহস্পতিবার) শিক্ষামন্ত্রী ও সচিব বরাবর একটি চিঠি দেবে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা এ বছর থেকেই বাতিল হয়ে অষ্টম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী হবে বলে গত ২১ জুন জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে গত ২৭ জুন মন্ত্রিসভা ‘অষ্টম শ্রেণিতে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) পরীক্ষা পদ্ধতি চালুপূর্বক পঞ্চম শ্রেণি পর্যায়ে বিদ্যমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল’ এর প্রস্তাব অনুমোদন না দিয়ে তা আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেয়। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা ও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা এ বছরও থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় দেশের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম মন্ত্রিসভা।
এরপর গত ১৭ জুলাই গণশিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা যৌথভাবে এ পরীক্ষাটা নেব। যদিও পরীক্ষা পরিচালনার মূল দায়িত্ব থাকবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ই এটা করবে, এতে সহযোগিতা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্তের লিখিত কপি পর্যালোচনা করেছেন জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা বুঝেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে (জেএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব) হস্তান্তর করলে হবে না। এ বিষয়ে ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত লাগবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত না হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের কাছে পুরোপুরি (পরীক্ষা নেওয়া) ছেড়ে না দেবেন, ততোক্ষণ আমরা ওটা পরিচালনা করতে আইনগতভাবেই পারব না। সেই বিজনেসটা আমার কাছে এলোকেটেড (সরকারি নিয়মে কর্মবণ্টন) হয়নি।’