শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৪ এপ্রিল ২০১৬
এখনকার দিনে যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন। আপনি হয়তো আপনার প্রয়োজনীয় সব কথা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই অন্যের সাথে বিনিময় করে আসছেন। কিন্ত আপনি কি জানেন লিখিত রূপের আলাদা একটা গুরুত্ব আছে? কিছু কথা আছে যেগুলো মুখ দিয়ে বলা যায় না। এই কথাগুলো লিখে প্রকাশ করতে হয়। এমন কিছু কথা আছে যেগুলো লিখে প্রকাশ করলে আপনার জীবনে ব্যাপক এক পরিবর্তন ঘটবে। আসুন এখনই লিখতে বসে যাই, আর জীবনকে করি পরিবর্তন।
জীবনকে পরিবর্তন করতে চাইলে আজই লিখুন ৫টি চিরকুট
১। আপনাকে খুবই বিশ্বাস করেন এমন মানুষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন
বিশ্বাস একটি শক্তিশালী জিনিস। আমাদের অনেকের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ আত্মবিশ্বাস থাকে। কিন্তু এ আত্মবিশ্বাসের মূল উৎস কি? অন্যরা আমাদেরকে বিশ্বাস করে বলেই আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় অন্যেরা উৎসাহ ও সাহস না জোগালে আমাদের মধ্যে কখনোই আত্মবিশ্বাস জন্ম নিত না। আপনার জীবনেও এমন একজন মানুষ আছেন যার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় আপনি এখন একজন আত্মবিশ্বসী মানুষ। যে মানুষটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে, আপনার উচিত হবে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন। আজই আপনার প্রতি যে মানুষটি বিশ্বাস রাখেন তাঁর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একটি সুন্দর চিরকুট লিখে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিন।
২। আপনি ক্ষতি করেছেন এমন মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু কিছু ভুল থাকে। মাঝে মাঝে অজানা কারণে কিংবা নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে আমরা বুঝে না বুঝে অন্যের ক্ষতি করে ফেলি। পরবর্তীতে হয়তো এটার জন্য আমরা অনুশোচিত হই। কিন্তু এই অনুশোচনাটা শুধুমাত্র নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাটা যথেষ্ট নয়। আপনি যদি বিগত জীবনে কারো ক্ষতি করে থাকেন তবে আপনার উচিত হবে তাঁর কাছে অতি শীঘ্রই ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। কারো কাছে ক্ষমা চাইলে নিজের মান কমে না, বরঞ্চ বাড়ে। কারো ক্ষতি করার কারণে জীবনভর আপনি যে যন্ত্রণা ভোগ করে আসছেন তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ক্ষমা চাওয়া। আপনি আজই কাগজ কলম নিয়ে বসে যান। মনের অনুশোচনাটাকে লিখে প্রকাশ করুন ও যার ক্ষতি করেছেন তার কাছে পাঠিয়ে দিন। দেখবেন আপনার মন হালকা হয়ে যাবে।
৩। একটি অভিনন্দনপত্র লিখুন
ধরুন, একটি বই পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার উচিত হবে বইটির লেখক সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া। যদি বইটির লেখক জীবিত থাকে তবে আজই তাঁর কাছে বইটির প্রশংসা করে একটি অভিনন্দনপত্র লিখুন। যদি কোন তরুন উদ্যোক্তার উদ্যোগ আপনার ভালো লেগে থাকে তবে আজই একটি চিরকুট লিখুন। তাকে বলুন, আপনি হয়তো আপনাকে চিনবেন না, কিন্তু আপনার উদ্যোগটি আমাকে মুগ্ধ করেছে, আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য রইল অসংখ্য অভিনন্দন। তবে কোন প্রকার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অভিনন্দন না জানিয়ে একজনকে মন থেকে নিঃস্বার্থভাবে অভিনন্দন জানান। দেখবেন আপনার আত্মা শান্তি পাবে।
৪। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা অন্যকে সাহায্য করতে সংকোচবোধ করেন। অনেকে আছেন যারা সাহায্য করতে যাওয়ার সময় ভাবেন, আমি যদি তাকে সাহায্য করতে যাই তবে সে যদি নিজেকে ছোট ভাবে। এ ধরণের ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। প্রত্যেক মানুষেরই অপর মানুষের সাহায্য প্রয়োজন। একের সাহায্য ছাড়া অন্যের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। সুতরাং যদি কারও আপনার সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে তবে কোন ধরণের সংকোচবোধ না করে শীঘ্রই তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। বলার ভঙ্গির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনি যদি কাউকে বলেন, আমি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারি? সে নিশ্চয়ই বলবে, না আমি ভালো আছি। আপনাকে আরো বেশি সুনির্দিষ্ট করে কথা বলতে হবে। কাউকে সাহায্য করতে চাইলে তার কাছে লিখুন, আমি জানি আপনি কাজটি ভালোমত করছেন, কিন্তু কাজটি শেষ করার জন্য আমি কি সাহায্য করতে পারি? দেখবেন, সে আপনাকে তার একজন কর্মসঙ্গী হিসেবে ভাবতে শুরু করবে।
৫। অপ্রত্যাশিত একটি প্রশংসাপত্র লিখুন
প্রত্যেকদিন আপনার আশেপাশের মানুষরা অনেক ভালো করে। তাদের বেশির ভাগই আপনার জন্য কিংবা আপনার সাথে কাজ করেন না। প্রকৃতপক্ষে, এদের বেশিরভাগ জনের সাথেই আপনার ব্যাক্তিগত কিংবা পেশাগত কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। হয়তো এদের কেউই আপনার কাছ থেকে কোন ধরণের প্রশংসা আশা করছে না। হয়তো এদের সাথে চলতি পথে আপনার দেখা হয়েছে। এমন একজন ডাক্তার যে কিনা একদিন বিপদে আপনার সহযোগিতা করেছিল তার কাছে সুন্দর একটি প্রশংসাপত্র লিখুন। একই ভাবে চলতি পথে যার যে কাজটি আপনাকে মুগ্ধ করছে তার কাছে সুন্দর একটি প্রশংসাপত্র লিখুন।