শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৭ জুন ২০১৬
টেলিঘনত্ব বৃদ্ধি, উচ্চগতির ইন্টারনেটের বিস্তারে তিন মেয়াদী পরিকল্পনা ধরে জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা, ২০১৬’র খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রণীত নীতিমালা ১৯৯৮ সালের জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা প্রতিস্থাপন করবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টেলিযোগাযোগ নীতিমালা-১৯৯৮, জাতীয় আইসিটি নীতিমালা-২০১৫, জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ এবং আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ নীতি-২০১০- সবগুলোকে সমন্বিত করে একটা নীতিমালা করা হয়েছে।
জাতীয় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যসমাত্রা অর্জন ও বৈশ্বিক জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশকে সামনে রেখে ১০ বছরের জন্য প্রাথমিকভাবে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বল্প মেয়াদে ২০১৮ সালের মধ্যে ছয়টি লক্ষ্য : টেলিডেনসিটি বা টেলিঘনত্ব ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ করার টার্গেট ধরা হয়েছে। ইন্টারনেটের বিস্তার ৩৪ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ, ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশে উন্নীতকরণ এবং সব জেলা-উপজেলা সদর ও দুই হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ বিস্তৃতকরণ। এছাড়া সব উপজেলা সদরে উচ্চগতির তারহীন ব্রডব্যান্ড সেবা বিস্তৃতকরণ ও ডিজিটাল সম্প্রচার চালু করা।
২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমেয়াদী টার্গেট : শতভাগ টেলিঘনত্ব অর্জন অর্থাৎ, সব নাগরিকের হাতে টেলিফোন থাকবে। ইন্টারনেটের বিস্তার ৬৫ শতাংশ ও ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ৪০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সব ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্তকরণ, সব ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির তারহীন ব্রডব্যান্ড সেবা বিস্তৃতকরণ, ২০ শতাংশ বাসস্থান ও প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা।
দীর্ঘমেয়াদী টার্গেট : ২০২৫ সালের মধ্যে ইন্টারনেটের বিস্তার ৯০ শতাংশে উন্নীতকরণ, জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড সেবা ভোগের সুবিধার পরিবেশ তৈরি, ৫০ শতাংশ বাসস্থান ও প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনা।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত যতো আইন আছে- টেলিগ্রাম আইন-১৮৮৫, তারহীন টেলিগ্রাফি আইন-১৯৩৩, বেতার সম্প্রচার আইন-১৯৭৫ ও ১৯৯৯, টেলিভিশন সম্প্রচার আইন-১৯৭৫ ও ১৯৯২, টেলিভিশন সম্প্রচার আইন-১৯৬৫, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬, পর্নগ্রাফি আইন-২০১২ এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ কে সমন্বিত করে একটি আইন প্রণয়ন করা। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে একাধিক বা এক আইন হতে পারে।