‘জঙ্গিদের প্রতিরোধের সময় এখনই’: খাদ্যমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৮  জুন ২০১৬

‘জঙ্গিদের প্রতিরোধের সময় এখনই’: খাদ্যমন্ত্রী

‘জঙ্গিদের প্রতিরোধের সময় এখনই’: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আর বসে থাকা নয়, এখনই প্রতিরোধ করতে হবে। আর কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার  সময় নেই। জঙ্গিদের মুলোৎপাটন করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে।’

শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তেব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যা, গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে রোববার রাজধানী জুড়ে ১৪ দলের  ডাকা মানবন্ধন কর্মসূচি উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে মনে করেন জঙ্গি উৎপাদনের কারখান কেবল মাদ্রাসা বা কওমি মাদ্রাসা। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। শুধু মাদ্রাসা নয়, এখন অনেক ইংরেজি মাধ্যমের মেধাবীরাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে। চলমান হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে। তারই জঙ্গিবাদের প্রধান অর্থদাতা।

বাংলাদেশকে অকার্যকর এবং এখানে সংখ্যালঘুরা অনিরাপদ তা প্রমাণের জন্যই এসব ঘটানো হচ্ছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, পুরোহিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিরা নেতিবাচক ধারণা পোষণ করুক বিএনপি-জামায়াত এটিই চাইছে। এর মধ্য দিয়ে তারা বিশেষ ফায়দা লুটতে চায়। তারা তিন মাসের আগুন সন্ত্রাসে ব্যর্থ হয়ে এখন গ্রামে গিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে।

কারা কিভাবে এসব ঘটাচ্ছে তার সব গোয়েন্দা তথ্য সরকারের কাছে আছে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম আরো বলেন, সময় মতো সব প্রকাশ করা হবে। হত্যাকারীদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে।

মাদারিপুরে শিক্ষক হত্যা চেষ্টার উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর মগজ ধোলাই করে এই ঘটনার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিভাবকসহ সবাই এ ব্যাপারে সচেষ্ট না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে এই অপরাধ দমন সম্ভব নয়।

তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সরকারের জঙ্গি দমন প্রক্রিয়াকে রাজনীতিকরণ বলে মত দিতে চাইছে উল্লেখ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, তারা ঘোরের মধ্যে আছেন। সরকারের কাছে পরিষ্কার তথ্য আছে এবং তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি রোববারের (১৯ জুন) মানবন্ধন কর্মসূচিতে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। সভায় ১৪ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।

 

Related posts