চট্টগ্রামে সার কারখানার গ্যাস নিয়ন্ত্রণে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৩  আগস্ট ২০১৬

চট্টগ্রামে সার কারখানার গ্যাস নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রামে সার কারখানার গ্যাস নিয়ন্ত্রণে

ডাই-অ্যামোনিয়া ফসফেট প্লান্ট (ডিএপি) নামের সার কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বার্নাল (আধার) ছিদ্র হয়ে ছড়িয়ে পড়া অ্যামোনিয়াম ফসফেট গ্যাস নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাস নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে অ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া পাঁচ শিশুসহ ৫২ জনের মধ্যে ৯ জন চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের পাশে অবস্থিত ড্যাপ সার কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটে।

এতে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট গ্যাস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। গ্যাস নিঃসরণ এবং ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে পানি ছিটিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সার কারখানাটিতে তিনটি গ্যাসের ট্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া গ্যাস ধারণ ক্ষমতার ট্যাংকটিতে ৩০০ মেট্রিক টনের মতো গ্যাস ভরার পর বিস্ফোরণ ঘটে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, কারখানায় কাছাকাছি তিনটি ট্যাংকের একটিতে দুর্ঘটনা ঘটলেও বাকি দুটি ঠিক আছে।

চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, বিস্ফোরণে ট্যাংকটির একটি অংশ ফেটে গেছে। ট্যাংকে আর গ্যাস নেই। সেখানে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় অ্যামোনিয়া ছিল। বিস্ফোরণে সেখান থেকে ছড়ানো গ্যাস আশাপাশে ঘন কুয়াশার মতো ভেসে ছিল।

তিনি জানান, গ্রাউন্ড মনিটর এবং টুইন ওয়ান গ্রাউন্ড ফেইজের মাধ্যিমে পানি ছিটিয়ে গ্যাস সরানো হয়েছে। এতে সেই কুশায়ার ঘনত্ব কমতে কমতে রাত ৪টার দিকে ৬০ শতাংশে আসে। সকাল ৮টা নাগাদ ১০ শতাংশে নেমে আসে।

পরে সকাল ১০টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।

এদিকে ট্যাংক ফেটে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়ানোর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুর রশিদকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- আনোয়ারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম বাড়ৈ ও কর্ণফুলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

এদিকে বিসিআইসি পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশল)  মো. আলী আক্কাসকে প্রধান করে আরেকটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরাও আছেন। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

Related posts