খুন হওয়ার আশংকা কেজরিওয়ালের

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২৮  জুলাই ২০১৬

খুন হওয়ার আশংকা কেজরিওয়ালের

খুন হওয়ার আশংকা কেজরিওয়ালের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খুনের ষড়যন্ত্র করছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় এমনটি দাবি করেছেন খোদ কেজরিওয়াল।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নরেন্দ্র মোদি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেও দ্বিধা করবে না।

প্রায় ১০ মিনিট দীর্ঘ ওই ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে রাতে ঘুম হয় না তার। দলের সাংসদদের আগেই টার্গেট করেছে মোদি সরকার। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কেন্দ্রের বিরোধীতা করার মাসুল দলের সবাইকেই ভুগতে হতে পারে। যে কোনও মুহুর্তে তিনি নিজেও খুন হয়ে যেতে পারেন।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আম আদমি পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের দশ জন এমএলএকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের এমএলএদের বাড়ি বাড়ি আয়কর বিভাগের লোকজন হানা দিচ্ছে। তারা বানোয়াট অভিযোগে আমাদের ২১জন এমএলকে অযোগ্য ঘোষণার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে আমাদের এমপি ভগওয়ান্ত মানকে বরখাস্ত করেছে। এসব কেন ঘটছে ভিডিও বার্তায় জানতে চান কেজরিওয়াল।

কেজরিওয়াল বলেন, লোকজন বলে আমি সব কিছুর জন্য মোদিকে দোষারোপ করি। তারা বলে আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অপচেষ্টা চলছে তার কিছুই মোদি করছে না। তাহলে আয়কর বিভাগ, সিবিআই, দিল্লি পুলিশের তৎপরতার নেপথ্যে একজন হোতা রয়েছে। আমরা জানতে চাই সেই হোতা কে? তিনি কি অমিত শাহ, মোদি না প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়? সম্ভবত মোদির নির্দেশে এসব অমিত শাহ করে বেড়াচ্ছে। তবে সব কিছুই এক জায়গা থেকে হচ্ছে। যখন এসব কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে তখন তারা কেন এসব করছেন? সরকারের ভেতরের লোকজন আমাকে বলেছেন, মোদি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে আছেন এবং তিনি যৌক্তিকভাব চিন্তা করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, মোদির ক্রোধের ব্যাপারে লোকজন বিভিন্ন কথা বলছে। কারও মতে দিল্লির পরাজয় মোদি এখনও হজম করতে পারেননি। কেউ বলে দিল্লিতে আমাদের সরকারের ভালো কাজ তিনি দেখতে পারছেন না। কারও কারও মতে পাঞ্জাব ও গুজরাটে আম আদমি পার্টির জনপ্রিয়তা অর্জন মোদিকে খেপিয়ে তুলেছে। আমি অবশ্য জানি না মোদি কি কারণে ক্ষিপ্ত, তবে তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড থেকে প্রমাণিত যে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে এসব কাজ করছেন।  কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রতিহিংসার বশবর্তী হয় সিদ্ধান্ত নেন তখন তা বিপদ সংকেত দেয়। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে যে দেশটি নিরাপদ লোকের হাতে রয়েছে।

 

Related posts