শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৩ জানুয়ারি ২০১৭
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলিয় পর্যটন সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় প্রথমবারের মতো আগামীকাল শুরু হচ্ছে ‘কুয়াকাটা মেগা বিচ কার্নিভাল-২০১৭’।‘সান ফান গান’শীর্ষক স্লোগানে তিন দিনব্যাপী এই বিচ কার্নিভাল শুরু হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল-মাল আবদুল মুহিত শনিবার সকালে এই কার্নিভাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান খান কবির বাসসকে বলেন, সফল বিচ কার্নিভালের মাধ্যমে কুয়াকাটা ও এর আশপাশের পর্যটন এলাকা সম্পর্কে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেন। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবাধনে বিটিবি এই বিচ কার্নিভালের আয়োজন করছে।
কবির বলেন, বাংলাদেশ পর্যোটন কর্পোরেশন (বিপিসি) ও অন্যান্য বেসরকারী পর্যটন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে একক পর্যটন কেন্দ্র ব্রান্ড বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বছর ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীতে। এর দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার ও প্রশস্ত তিন কিলোমিটার। কুয়াকাটা বিচের মূল বৈশিষ্ট্য হলো বঙ্গোপসাগরে সূর্যোদয় ও সূর্যস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য।
তিন দিনব্যাপী কার্নিভাল উপলক্ষে বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, ভলিবল, ঘুড়ি ওড়ানো, দেশিয় খেলা, নৌকা বাইচ, ওয়াটার বাইক, বিচ লাইটিং, ক্যাম্প ফায়ার, এটিবি রাইডস্, কুয়াকাটা-সুন্দরবন পথে সাগরে নৌবিহারসহ বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন করেছে।
এসবের পাশাপাশি কার্নিভাল উপলক্ষে কুয়াকাটার দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য, রাখাইন সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন, প্রাচীন যুগের নৌকা, বৌদ্ধ মন্দির, হিন্দু সম্প্রদায়ের শত দেবতার মন্দিরও পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় হবে।
১৬ জানুয়ারি রাতে অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী বিচ কার্নিভালের সমাপনী অনুষ্ঠান।
পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে কার্নিভালে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী, বাংলাদেশের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সম্পর্কে বিদেশি দূতগণ নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের অবহিত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।