শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৩০ এপ্রিল ২০১৬
কি স্লোয়ার! কি কাটার! কি ইয়র্কার! সব ক্ষেত্রেই যেন দিনে দিনে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। অভিষেকের এক বছর হয়ে গেলেও বল হাতে এখনো সেই ‘অচেনা’ মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেও উদঘাটন হচ্ছে না তার বোলিংয়ের রহস্য। শুরু থেকেই বিস্ময় ছড়িয়ে আসা বাংলাদেশের বাঁ-হাতি এই পেসার এখনো বিস্ময়ের মোড়কে ঢাকা।
বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ব্যাটসম্যানদের কাছে যমদূত হয়ে উঠেছেন মুস্তাফিজ। তার বলে রান নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে শেষের ওভারগুলোতে আরো ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হন মুস্তাফিজ।
ইনিংসের শেষের দিকে ব্যাটসম্যানদের রান নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। অন্য সব বোলাররা যেখানে বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি খেতে থাকেন ডেথ ওভারগুলোতে, সেখানে মুস্তাফিজ অন্য সবার থেকে অনেকটাই আলাদা।
গেল বছরের এপ্রিলে মুস্তাফিজের অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ৩২ জন বোলার কমপক্ষে ২৫ বা তার বেশি ওভার বোলিং করেছে শেষ ওভারগুলোতে। শেষ পাঁচ ওভারে মুস্তাফিজের ইকোনমি মাত্র ৬.৮২। যা অন্য সবার থেকে কম।
মুস্তাফিজের পরেই রয়েছেন ইংল্যান্ডের মিশেল ক্লাইডন। যার ইকোনমি ৭.৫৬। এছাড়াও টি-টোয়েন্টির সেরা বোলার ধরা হয় লাসিথ মালিঙ্গাকে। সেই মালিঙ্গারও শেষ পাঁচ ওভারে ইকোনমি ৭.৮৮।
যেখানে মালিঙ্গার গড়ে ৬.৭৮ বলে একটি করে বাউন্ডারি মারে ব্যাটসম্যান সেখানে মুস্তাফিজকে গড়ে ৯.২৮ গড়ে একটি বাউন্ডারির মার পারেন ব্যাটসম্যান। মুস্তাফিজের সাথে অনেকাংশেই তুলনা দেয়া হয় ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর। সেই বুমরাহর ডেথ ওভারে গড়ে ৬.০৯ বলে একটি করে বাউন্ডারি মেরেছে ব্যাটসম্যানরা।
সূত্র : প্রিয়.কম