শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
বাংলাদেশিদের জন্য ‘অন অ্যাইভাল ভিসা’ বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি বদলে ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হর্ষ ডি সিলভা। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. ডি সিলভা বলেন, বাংলাদেশিদের ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ না দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত তার সরকার নেয়নি। ইমিগ্রেশন দফতরের প্রধান নিজের সিদ্ধান্তে এরকম একটি পদক্ষেপ নিলেও এখন তারা সেটি বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশিদের ‘অন অ্যারাইভাল’, অর্থাৎ বিমান বন্দরে নামার পর ভিসা দেয়ার ব্যবস্থা বাতিল করায় শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দেয়। বাংলাদেশও পাল্টা শ্রীলংকার নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়।
সংবাদ মাধ্যমটিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কিছু জানানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি জানার পর ঢাকায় শ্রীলংকার হাইকমিশনার ইয়াসোজা গুনাসাকেরাকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে নিজের দেশের সিদ্ধান্ত বা অবস্থানের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি হাইকমিশনার।
বিবিসিকে ডি সিলভা বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন শ্রীলংকার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের প্রধান। তার এই সিদ্ধান্তে আমরা অসন্তুষ্ট। আমরা ইতোমধ্যে তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে এটির সুরাহা করতে বলেছি। তিনি এতে রাজী হয়েছেন। আমি আশা করছি বিষয়টির একটা সুরাহা ইতোমধ্যে করা হয়েছে।’
বাংলাদেশও শ্রীলংকার নাগরিকদের ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ দেয়া বন্ধ করেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যা, বাংলাদেশও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু একটা দেশের একজন ব্যক্তি যখন ভুল করেন, তার মানে এই নয় যে সেদেশের সব মানুষ একই রকম।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই আমি ইমিগ্রেশন দফতরকে বলবো, তারা যেন এরকম কান্ড আর না করেন। এটা ছিল এক ভুল। আমরা কূটনৈতিকভাবে বিষয়টির সুরাহার করছি।’